ফলস ব্রেক আউট

ফলস ব্রেক আউটঃ

রিয়েল টাইম চার্ট দেখার সময় অনেক সময় মনে হবে সাপোর্ট অথবা রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কারণ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, প্রাইজ সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভেদ করে নীচে বা উপরে চলে যাচ্ছে বা গেছে। অথচ কিছু সময় পরে চার্টের দিকে তাকালে দেখি, প্রাইজ ক্লোজ হয়েছে, সাপোর্ট (বা রেজিস্টেন্স)-এর উপরে (বা নীচে).  অর্থাৎ আসলে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স সত্যিকার অর্থে ভাঙ্গেনি। একে ফলস ব্রেক আউট বলে। অনেকেই এরকম ফলস ব্রেক আউটে ট্রেড নিয়ে বিপদে পড়েন। এই পরিস্থিতি বহুলাংশে (৮০% সময়) এড়ানো যাবে যদি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টের সাথে সাথে আপনিলাইন চার্টে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইন গুলি হোল্ড করছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখেন। প্লিজ নোট করুন যে এটি খুব কাজে দেয়, এক সেকেন্ডের একটি ক্লিকে আপনি এটি দেখে নিতে পারেন। অথচ, ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়ে বেশীরভাগ ট্রেডারেরা এত ব্যস্ত থাকে যে এই সামান্য কাজটি করে ‘লাইন চার্টে’ সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হোল্ড করছে কিনা সেটা দেখতে ভুলে যায়।

Picture5
তাহলে যখন ফলস ব্রেক আউট হয় তখন কি বুঝতে হবে? বুঝতে হবে যে, মার্কেট আসলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স রিটেষ্ট করতে (ছুঁতে) আসছিল, ভাঙ্গতে (ব্রেক আউট) আসেনি। চিত্রে দেখুন।

 

কিভাবে বুঝবো সত্যিই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কিনা?

যদি পরপর দু’টি টাইম ফ্রেমে অর্থাৎ প্রথমে ১-ঘন্টা ও পরে ৪-ঘন্টায় প্রাইজ সাপোর্টের নীচে বা রেজিস্টেন্সের উপরে ক্লোজ হয়, তাহলে মনে করা যাবে যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে ব্রেক আউট হয়েছে। যারা লম্বা টাইম ফ্রেমে ট্রেড করেন অর্থাৎ সাধারনত যাদের ট্রেড সময়কাল ৭ দিন বা তার বেশী তাদের ১-ঘন্টা ও ৪-ঘন্টা সহ ডেইলি বারের ক্লোজ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ও ব্রেক আউট সম্পর্কে যেগুলি জানা থাকা ভালোঃ

যতবেশী বার প্রাইজ কোন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাবে সেই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স তত শক্তিশালী। অর্থাৎ ভাঙ্গা কঠিন। কিন্তু যদি ভাঙ্গে তাহলে তত তীব্র বেগে উপরে বা নীচে যাবে।

যখন প্রাইজ রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে, তখন সেই রেজিস্টেন্স পরবর্তি লেভেলের জন্য সাপোর্ট হয়ে যায় (অনেকটা “দুই তালার ছাদের উপরই হচ্ছে তিন-তলার মেঝে”-এ রকম ব্যাপার).  তেমনি সাপোর্ট ভেঙ্গে নীচে নামলে সেটি পরের স্তরের রেজিস্টেন্স হয়ে যায়।
Picture1 (1)
 

চিত্রটিতে মেজর (শক্তিশালী) ও মাইনর (তেমন শক্তিশালী নয়) সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স গুলি লক্ষ্য করুন। যেকোন চার্ট খুলে নিয়ে আপনি যদি কিছুটা প্রাক্টিস করেন তাহলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স অঞ্চল গুলি সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন।