কমোডিটি ট্রেডিং – ব্রোকার যেভাবে আমাদের কমোডিটি কেনাবেচা করতে সহায়তা করে

আপনি অনলাইনে কমোডিটি কিনতে চাইলে আপনাকে কোন একটি ব্রোকারের সহায়তা নিতে হবে যেটি কোন একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সদস্য। এরকম অসংখ্য ব্রোকার রয়েছে। আজকাল ফরেক্স ব্রোকাররাও কমোডিটি ট্রেড করার সুবিধা দেয়, কেননা ট্রেডাররা স্মার্ট হচ্ছে। তারা এখন আর “All eggs in one basket” নীতিতে বিশ্বাসী না। যেহেতু, হাতের নাগালেই ট্রেড করার মত বিভিন্ন অপশন রয়েছে, তাই কোন ট্রেড ওপেন করার আগে তারা দেখতে চান, এই মুহূর্তে কোনটি ট্রেড করলে লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কোন কারেন্সি, নাকি কোন কমোডিটি? প্রশ্ন হচ্ছে, ফরেক্স ব্রোকাররা কিভাবে কমোডিটি কেনাবেচা করতে সহায়তা করে?     যেসব ফরেক্স ব্রোকাররা কমোডিটি ট্রেড করার সুবিধা  দেয়, তারা সাধারণত কোন না কোন কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সদস্য। এক্ষেত্রে, ব্রোকারের কাজ হল কমোডিটি বায়ার ও সেলারের মধ্যে মাধ্যম হিসেবে কাজ করা।

ব্রোকার চাইলে নিজেও কমোডিটি বাই সেল করতে পারে।   এখন, আপনি যখন কোন কমোডিটি বাই করেন, যেমন ধরুন, স্বর্ণ কিনলেন, তখন আপনি তা ব্রোকার থেকে কিনলেন। এক্ষেত্রে, আপনি হচ্ছেন বায়ার আর ব্রোকার হচ্ছে সেলার। এখন, আপনার আর ব্রোকারের মধ্যে কমোডিটি বেচাকেনা কি শর্তে হচ্ছে, তা ব্রোকারের “Terms and Conditions” পড়লে বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন ব্রোকারের নিয়ম বিভিন্ন রকম।   যেমন ধরুন, সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, আপনি কোন কমোডিটি কেনার সময়েই ব্রোকারের সাথে আপনার চুক্তি হয়ে গেল যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট প্রাইসে আপনি কমোডিটি কিনছেন। ধরুন, এই সময়টি তিন মাস।   তাহলে, তিন মাস পরে কি হবে? তিন মাস পরে আপনি ব্রোকারকে পুরো টাকা দিবেন আর ব্রোকার আপনাকে আপনার কমোডিটি দিয়ে দিবে। প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রোকার এই কমোডিটি কোথা থেকে দিবে?   সহজ উত্তর হচ্ছে, ব্রোকার আরেকজনের থেকে কিনে আপনাকে দিবে।

ব্রোকারের কাজই হচ্ছে বাই আর সেল করা। আপনার থেকে যা কিনবে, তা আরেকজনের কাছে বিক্রি করবে, আর আরেকজনের কাছ থেকে যা কিনবে, তা আপনার কাছে বিক্রি করবে। যেহেতু, প্রত্যেকটি ব্রোকারেরই অসংখ্য ক্লায়েন্ট থাকে, তাই ব্রোকার সহজেই আপনার কাছে কমোডিটি বিক্রি করার চুক্তি করলে আরেকজনের কাছ থেকে কমোডিটি কেনার চুক্তি করবে।   এখন, তিন মাস পরে আপনি যে ব্রোকারকে পুরো টাকা দিবেন, তার নিশ্চয়তা কি? আর ব্রোকার যার থেকে কমোডিটি কিনবে, সেও যে সময়মত কমোডিটি ডেলিভারী করবে, তারও বা নিশ্চয়তা কি? তাই, ব্রোকার উভয়ের থেকেই একটি সিকিউরিটি ডিপোজিট রাখে। এটা সাধারণত যত টাকার কমোডিটি কিনবেন, তার উপর নির্ভর করে। যেমন, শতকরা ৫%। এটাকেই মার্জিন বলে।   কিন্তু, এই সিকিউরিটি ডিপোজিট বা মার্জিন নেবার পরেও কিন্তু ব্রোকার ঝুঁকিতে আছে।

জানতে চান, কিভাবে?   ধরুন, প্রতি আউন্স গোল্ড ১০০০ ডলার, এই রেটে আপনি ১ আউন্স গোল্ড কিনলেন ব্রোকার থেকে। শর্ত হচ্ছে, ব্রোকার এই গোল্ড ডেলিভারি দিবে ৩ মাস পরে। এখন, ৩ মাস পরে গোল্ডের দাম যাই থাকুক না কেন, ব্রোকার আপনাকে এই ১ আউন্স গোল্ড ডেলিভারি দিতে বাধ্য, আর আপনি বাধ্য ব্রোকারকে ১০০০ ডলার দিতে। ধরুন, ১ মাস পরে গোল্ডের দাম কমে দাঁড়ালো আউন্স প্রতি ৮০০ ডলারে। অর্থাৎ, আউন্সপ্রতি দাম ২০০ ডলার কমে গিয়েছে।   এখন, ১০০০ ডলারের ৫% হিসেবে আপনি মার্জিন বা সিকিউরিটি ডিপোজিট দিয়েছেন মাত্র ৫০ ডলার। চুক্তি করেছেন, বাকিটা গোল্ড ডেলিভারির সময় নিবেন। উন্নত বিশ্বে, এই চুক্তির দাম আছে।

একবার চুক্তি করার পরে আপনি গোল্ড এই দামে নিতে বাধ্য। যদি, তিন মাস পরে গোল্ডের দাম কমে আউন্সপ্রতি ৫০০ ডলারও হয়ে যায়, তারপরেও আপনাকে ৫০০ ডলার বেশি দিয়ে হলেও ১০০০ ডলারেই নিতে হবে। ৫০ ডলার গেলে যাক, ব্রোকার থেকে গোল্ড নিবই না। এমনটা ভেবে যে এড়িয়ে যাবেন, তারও কোন উপায় নেই। ব্রোকার টাকা না পেলে মামলা করে দিবে আপনার নামে। আদালতে গেলে আপনি টাকা দিতেই হবে, তা নাহলে জেলে যেতে হবে।   কিন্তু, যদি অনলাইনে এই গোল্ড কেনার চুক্তি করে থাকেন, অনেক দূরের কোন দেশের ব্রোকারের সাথে, তাহলে? ব্রোকার আপনাকে পাবে কোথায়? আপনি তো চাইলেই উধাও হয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে তো ঠিকই এই ১ আউন্স গোল্ডের জন্য কাউকে না কাউকে ১০০০ ডলার দিতে হবে। তখন?  

ব্রোকারদের বোকা ভাবার কোন কারন নেই। বরং, আমার আপনার থেকে অনেকগুন চালাক লোক আছে ব্রোকারে। তারাও এমন সিস্টেম বের করে রেখেছে যে, ব্রোকার এরকম কোন ঝুঁকিতে পড়বে না। সেটা কিভাবে?   সহজ। আপনি যখনই ব্রোকারের সাথে গোল্ড কেনার অর্ডার দিচ্ছেন, তখনই তার মালিক আপনি। সিকিউরিটি ফি বা মার্জিন হিসেবে গোল্ডের পুরো দামের একটি অংশ ব্রোকারকে দিয়েছেন, বাকিটা দিবেন ডেলিভারির পরে। এখন,  যদি গোল্ডের দাম  আউন্সপ্রতি ১০০ ডলার বাড়ে, তাহলে আপনি যে এক আউন্স গোল্ডের মালিক, তার দাম এখন আর ১০০০ ডলার না, ১১০০ ডলার। ব্রোকারের কাছে চাইলেই আপনি যেকোন সময় এই কেনা গোল্ড আবার বিক্রি করে দিতে পারবেন ডেলিভারির আগেই।

সেক্ষেত্রে, ব্রোকার তার ফি কেটে রেখে আপনাকে আপনার লাভ বুঝিয়ে দিবে। অর্থাৎ, আপনার অ্যাকাউন্ট এ ৯৮ ডলার যোগ হয়ে যাবে, সাথে মার্জিন হিসেবে যে টাকা কেটে রাখা হয়েছিল, তাও ফেরত দেয়া হবে। (ধরলাম, ব্রোকারের ফি হচ্ছে আউন্সপ্রতি ২ ডলার, ১০০ ডলার-২ ডলার=৯৮ ডলার)। কিন্তু, ব্রোকারে যে আরেকজনের থেকে আপনার জন্য গোল্ড কেনার কথা? চিন্তার কারন নেই, ব্রোকার আরেকজনের সাথে গোল্ড বেচার চুক্তি করে নিবে বর্তমান প্রাইস অনুসারে। সেক্ষেত্রে, এখন যে ব্রোকার থেকে গোল্ড কিনবে, সে কিনবে প্রতি আউন্স ১১০০ ডলার দরে, আর ব্রোকার তো আগেই ১০০০ ডলার দরে গোল্ড কিনার চুক্তি করে রেখেছে।

Commodity trading

আর যদি দাম কমে? ধরুন, প্রতি আউন্স গোল্ডের মূল্য ৫০ ডলার কমে গেলো। আপনি মার্জিন দিয়েছেনও ৫০ ডলার। এখন যদি আরো কমে যায়, তাহলে তো আপনি পরে ওই গোল্ড আর না নিলে ব্রোকার বিপদে পড়বে। তাই, চুক্তিতে শর্ত দেওয়া থাকে যে এরকম ক্ষেত্রে ব্রোকার সাথে সাথেই বা তারও আগে আপনাকে ইনফর্ম করবে আরো ডিপোজিট দেওয়ার জন্য। এজন্যেই অ্যাকাউন্টে মার্জিন এর বাইরেও অতিরিক্ত অর্থ রাখতে হয়।

ব্রোকার সাথে কমোডিটি কেনার সময়েই আপনি চুক্তি করেছেন যে, কোন কারনে যদি দাম কমে যায় তাহলে আপনি আরো ডিপোজিট মানি দিবেন যাতে কোন অবস্থাতেই আপনার টোটাল ডিপোজিট মানি থেকে টোটাল লস বেশি না হয়। এমনটা হলেই, ব্রোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার জন্য বেশি দামে কেনা গোল্ড আবার বাজারে বাজারমূল্যে (কম দামে) বিক্রি করে দিবে, মানে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। ব্রোকার তখন হিসাব করবে তার লস কত হল আর আপনি ডিপোজিট মানি মোট কত দিয়েছেন। আপনার দেয়া মোট ডিপোজিট মানি থেকে ব্রোকার তার লস আর ফি কেটে রেখে বাকি টাকা আপনাকে ফেরত দিবে।

এখন, ব্রোকারের লস আর ফি মিলিয়ে যদি সর্বমোট ১০০ ডলার হয় আর আপনার দেয়া ডিপোজিট মানিও ১০০ ডলারই হয়, তাহলে আপনি লস+ফি কেটে নেয়ার পরে কিছুই ফেরত পাবেন না। আর যেহেতু ব্রোকার সবসময়েই তার লস আপনার ডিপোজিট মানি থেকে বেশি হবার আগেই ট্রেড ক্লোজ করে দিবে, তাই ব্রোকারেরও লস হবার সম্ভাবনা নেই। (কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ব্রোকারও লসের সম্মুক্ষীন হতে পারে, সেটা আরেকদিন আলোচনা করব)   কিছু কিছু ব্রোকার কমোডিটির ফিউচার কন্ট্রাকের ডেলিভারির তারিখের দিনে পন্য ডেলিভারি করে দেয় অথবা আপনাকে সুযোগ দেয় পন্য ডেলিভারি না নিয়ে লাভ বা লস যেটা হয়েছে, সেই টাকাটা নিয়ে নিতে। আর অনেক ব্রোকার তাদের ক্লায়েন্টদেরকে পন্য ডেলিভারীর বদলে ওই দিন ওই কমোডিটির যে মূল্য সেই অনুসারে লাভ বা লস বুঝিয়ে দেয়। ক্লায়েন্ট তখন ওই টাকা দিয়ে চাইলেই ওই পরিমান কমোডিটি বাজার থেকে কিনে নিতে পারে।

অনলাইন ব্রোকারগুলোর পক্ষে যেহেতু বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদেরকে পন্য ডেলিভারী দেওয়া সম্ভন হয় না, তাই তারা দ্বিতীয় পন্থাতেই কাজ করে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ফিউচার কন্ট্রাক্টের মেয়াদ অনেক দীর্ঘ থাকে। ট্রেডাররা তাদের সুবিধামত তার আগেই ট্রেড ক্লোজ করে লাভ বা লস বুঝে নেয়।   তাহলে বুঝতে পারলন, ব্রোকারদের মাধ্যমে কিভাবে আমরা কমোডিটি বেচাকেনা করে থাকি। অনেকে জানেন না, আসলে কিভাবে আমরা ফরেক্স ব্রোকারদের সাথে কারেন্সি বেচাকেনা করে থাকি।

আশা করি, এখন আপনি দুটোই বুঝতে পারেছেন। কমোডিটি ট্রেড করতে হলে আপনাকে আলাদা করে টেকনিক্যাল বা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস শিখতে হবে না, এটা ফরেক্স ট্রেডিং এর মতই। তবে, বেশ কিছু বেসিক জিনিস জানা বেশ জরুরী। তা না হলে, আপনি সঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে সম্যসায় পড়বেন এবং ভুল ট্রেড ওপেন করবেন। এই নিয়েই লিখব পরবর্তীতে। সাথে আরো থাকবে কমোডিটি ট্রেডিং এর বিভিন্ন টিপস।

ডে ট্রেডিং কি?

ডে ট্রেডিং একটি শর্ট-টার্ম ট্রেডিং স্টাইল। ডে ট্রেডার সাধারনত দিনে একটি ট্রেড দেয় এবং দিন শেষ হওয়ার আগে তা আবার ক্লোজ করে দেয়।

ডে ট্রেডার সাধারনত পজিশন সারারাত ওপেন রাখতে পছন্দ করে না। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দিনের মধ্যে লাভ নিয়ে নেয়া। 

একজন ডে ট্রেডারের অ্যানালাইটিক্যাল স্কিল খুব ভালো হতে হয়। তারা  বিভিন্ন ইনডিকেটর এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ট্যুল ব্যাবহার করে থাকে। এছাড়াও, অর্থনীতি সম্পর্কে তার ভালো ধারনা থাকতে হয় যাতে সে ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং সিগন্যাল চিহ্নিত করতে পারে। এছাড়াও, তারকাছে শক্তিশালী এক্সিট স্ট্রাটেজি থাকতে হবে যাতে সে দিনের শেষে তার ওপেনকৃত পজিশনগুলো সবচেয়ে বেশী লাভে ক্লোজ করতে পারে।

যেহেতু ডে ট্রেডাররা প্রায়ই তাদের পজিশন ক্লজ করে বা ওপেন করে, তাই তারা সাধারনত লিকুইড কারেন্সিগুলোতে ট্রেড করে যাতে তাদের স্প্রেডের খরচ কম হয়।

Martin S. Schwartz হচ্ছে ডে ট্রেডারের একটি ভালো নিদর্শন, এই লোকের সাহস এবং বুদ্ধিমত্তা তারজন্য প্রচুর অর্থ নিয়ে এসেছে এবং উপযুক্ত নাম পিট বুল উপাধি পেয়েছে। সে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে যখন সে ১৯৮৪ সালে ইউএস ইনভেস্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। তার ডে ট্রেডিং স্টাইল সেসময়ে অপরাজেয় ছিলো। সে কখনো নিজের পজিশন খুব বেশি সময় ধরে রাখতো না। ট্রেডে এন্ট্রি নিতে সে টেকনিক্যাল ইনডিকেটর ব্যাবহার করতো এবং অর্থনৈতিক রিপোর্ট এবং অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিসের সিগন্যাল দেখতো।

যখন নিউজ এবং ফান্ডামেন্টাল ডাটার সময় আসে, তখন বেশিরভাগ ট্রেডার প্রকাশিত সংখ্যার দিকে নজর দেয় আর চিন্তা করে যে মার্কেট নিউজ রিলিজের অনুযায়ী মুভ করছে না কেন। Marty Schwartz এর এই বিশ্বাস ছিলো যে ট্রেড ইকনোমিক রিলিজের প্রকাশিত সংখ্যার ভিত্তিতে হবে না, বড়ং মার্কেটে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়ার ওপর যা ডাটা প্রকাশনার পরে দেখা যায়। Marty ট্রেডারদের তাদের নিজেদের ধারনা, চিন্তাভাবনার কথা ভুলে যেতে বলেছে, এবং মার্কেট কি বলছে তা শুনতে বলেছে, কারন ট্রেডের উদ্দেশ্য আপনার ধরনা নিশ্চিত করা নয়, বড়ং অর্থ উপার্জন করা।

আমাদের ডে ট্রেডার প্রাইসের দিক নির্ধারণ করতে প্রায়ই টেকনিক্যাল ইনডিকেটর ব্যাবহার করতো। তার সর্বকালের পছন্দের ট্যুল ছিলো ১০-পিরিয়োডের এক্সপনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (ইএমএ) এই টেকনিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টটি Marty কে শর্ট-টার্ম ট্রেডে বুলিশ এবং বিয়ারিশ দৃশ্যকল্পের পার্থক্য করতে সহায়তা করতো।

Fxprimus ব্রোকার দিচ্ছে ১০০% বোনাস এবং প্রতি লটে ৪$ ক্যাশব্যাক

Fxprimus ব্রোকার তার ট্রেডারদের জন্য  ১০০% ডিপোজিট বোনাস অফার করছে। একজন ট্রেডার সর্বোচ্চ ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত বোনাস নিতে পারবেন। এছাড়া প্রতি লট ট্রেডের জন্য ৪ ডলার ক্যাশ ব্যাক পাবেন।  এই অফারটি থাকবে ৩০ সেপ্টেম্বার ২০১৮ পর্যন্ত।

টার্মস এন্ড কন্ডিশন

  • নতুন এবং পুরাতন সকল ট্রেডার এই বোনাস নিতে পারবেন।
  • ECN একাউন্টে ৪ ডলার এবং ফ্লোটিং স্প্রেড একাউন্টে ২ ডলার ক্যাশব্যাক পাবেন।
  • কমপক্ষে ৫০০$ ডিপোজিটের জন্য এই অফার প্রযোজ্য।
  • এই অফারে একাউন্ট লেভারেজ সর্বোচ্চ  ৩০০:১ রাখা যাবে।
  • একজন ট্রেডার কেবলমাত্র একটি একাউন্ট এই বোনাস নিতে পারবে।
  • এই বোনাস দিয়ে ট্রেড করা যাবেনা। এটা ক্রেডিট হিসেবে থাকবে।
  • প্রতি লট ট্রেড কমপ্লিট হলে বোনাস ডলার ক্রেডিট ব্যালেন্স থেকে মুল ব্যালেন্সে যোগ হতে থাকবে।
  • ১ মিনিটের কম সময়ের ট্রেডের জন্য ক্যাশব্যাক পাওযা যাবেনা এবং দুই মিনিটের কম সময়ের ট্রেডের জন্য ৫০% ক্যাশ পাওয়া যাবে।
  • একাউন্টের মূল ব্যালেন্স জিরো হলে সাথে সাথে বোনাস কেটে নেওয়া হবে।
  • একাউন্ট থেকে যেকোন পরিমান উইথড্র দিলে সাথে সাথে সকল বোনাস কেটে নেওয়া হবে।

একাউন্ট করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

Sign Up and get 100% bonus

 

পোস্ট টি ভাল লাগলে শেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে করুন।

স্টপ লস এবং টেক প্রফিট কি?

ফরেক্স ট্রেডিং এ স্টপ লস এবং টেক প্রফিট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সফল ট্রেডারদের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা স্টপ লস এবং টেক প্রফিট ব্যবহার করে।

স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।

টেক প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।

ধরুন, আপনি 1.2100 তে একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। আপনি চাচ্ছেন 50 পিপস লাভ করবেন এবং 50 পিপসের বেশি লস করবেন না। তাহলে আপনি 50 পিপস স্টপ লস এবং 50 পিপস টেক প্রফিট সেট করে রাখতে পারেন। আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলে বা কোন স্পাইকের ফলে হঠাৎ প্রাইস বেড়ে বা কমে গেলে, স্টপ লস বা টেক প্রফিটের প্রাইসে অটোমেটিক ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।

সেক্ষেত্রে , আপনার স্টপ লসটি হবে 1.2050 এ এবং টেক প্রফিট টি হবে 1.2150 এ।

এ বিষয়ে সামনে আরো বিস্তারিত লেখা হবে। ভাল লাগলে শেয়ার করবেন। কোন প্রশ্ন থাকল কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আরো পড়ুন

স্ক্যাল্পিং কি?

ট্রেইলিং স্টপ কি?

Tradable Bonus কি?

Tradable হচ্ছে সেই বোনাস যা দিয়ে ট্রেড করা যায়।

বুঝিয়ে বলি, মনে করুন আপনি কোন ব্রোকারে ১০০০ ডলার ডিপোজিট করলেন। ব্রোকার আপনাকে ৫০০ ডলার বোনাস দিল। এখন আপনি ১০০০ ডলার লস করে ফেলেছেন। আপনার একাউন্টে ৫০০ ডলার আছে। মানে শুধু বোনাস টা আছে। এখন এই বোনাস দিয়ে যদি ট্রেড করা যায় তাহলে এটাকে বলে ট্রেডাবল বোনাস। বেশিরভাগ ব্রোকার কর্তৃক দেয়া বোনাস ই ট্রেডাবল বোনাস না। ডিপোজিট এমান্ট লস হয়ে গেলে সাথে সাথে বোনাসটা ক্যানসেল করে দেয়।

যেমন ধরুন, কোন ব্রোকারে আপনি ১০০০ ডলার ডিপোজিট করলেন আর ব্রোকার আপনাকে আরো ১০০০ ডলার বোনাস দিল। আপনার টোটাল ব্যালেন্স হল ২০০০ ডলার।  আপনি যদি কোন কারনে ১০০০ লস করে ফেলেন সাথে সাথে বাকি ১০০০ বোনাস ক্যানসেল হয়ে যায়। আপনার একাউন্ট জিরো। এ ধরনের বোনাসকে বলা হয় Credit Bonus.

Master Forex দিচ্ছে 200% Knockdown ডিপোজিট বোনাস

১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত  Master Forex সকল নতুন ট্রেডারদের ১০০% ডিপোজিট বোনাস দিচ্ছে.

শর্তাবলী:

  • এই promotion চলবে 19 September, 2014 থেকে পরবন্তী ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত।
  • promotion চলাকালীন সময়ে যারা নতুন একাউন্ট অপেন করেছেন শুদু তারাই এই বোনাস পাবেন.
  • একজন ট্রেডার শুধুমাত্র একটি একাউন্টে শুধুমাত্র একবার এই বোনাস নিতে পারবেন.
  • কমপক্ষে ১০০ ডলার ডিপোজিট করতে হবে.
  • বোনাস withdraw করার জন্য বোনাসের ১/৫ লট পুরন করতে হবে. অর্থাত আপনি যদি ১০০ ডলার বোনাস পান তাহলে আপনি যদি ২০ লট ট্রেড কমপ্লিট করতে পারেন তাহলে আপনি বোনাস withdraw করতে পারবেন.
  • বোনাস দিয়ে ট্রেড করা যাবেনা বা বোনাস লস করা যাবেনা.
  • শুধুমাত্র  Standard এবং Micro একাউন্টে এই বোনাস পাওয়া যাবে.
  • একাউন্ট করার জন্য এই লিংক এ ক্লিক করুন

অতি উত্তেজনা ও অধৈর্য সফল ট্রেডার হওয়ার অন্তরায়

সেদিন হায়দার ভাই (ছদ্মনাম) দৌড়ায়ে আসলো…
-ভাই, আমার একাউন্টে কিছু ডিপোজিট করে দেন.
-কত?
-5000 টাকায় যা হয়…
-বলেন কি, আপনাকে না বললাম আগে এই 500 সেন্ট এর একাউন্ট টা 1000 করেন।
-ভাই আপনি জানেন না। 500 কে 800 করে ফেলছিলাম। আবার লস হয়ে 450 হয়ে গেছে। অল্প ব্যালেন্সে এ হবেনা। তাই এই 5000 টাকা লন করে নিয়ে আসছি।
-বলেন কি?

আমি আকাশ থেকে পড়লাম। উনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কথা শুনতে চায় না। অবশেষে রাগ ই হলাম। বললাম- আগে ট্রেডার হন। লোন করা টাকা দিয়ে কখনো ফরেক্স মার্কেটে সফল হওয়া যায়না। ফরেক্স মার্কেটে সফল হতে আগে ভাল ট্রেডার হতে হবে। যদি ভাল ট্রেডার হতে পারেন তাহলে 500 কে 1000, 1000 কে 2000 বানাতে পারবেন। নতুন ডিপোজিট করতে হবেনা। নানান কথা বলে হায়দার ভাইকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।

আমার এই ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, হায়দার ভাইয়ের এই উত্তেজনা, লোন করে টাকা আনা এই ঘটনাগুলো কোথায় দেখতাম আমরা? 6 মাসে দ্বিগুন কোম্পানীগুলোতে। আর এই কোম্পানী গুলো কত লোক কে যে পথে বসিয়েছে তার কোন হিসেব নেই। আপনি যত ভালো ট্রেডারই হন, কমপক্ষে 6 মাস ডেমো বা সেন্ট একাউন্টে (ক্ষুদ্র ডিপোজিটের রিয়েল একাউন্ট) ট্রেড না করে বড় এমাউন্ট ডিপোজিট করা আর টাকা টা পানিতে ফেলে দেয়া সমান কথা। এমন ভুল করা থেকে নিজে বিরত থাকুন এবং অন্যকে নিরুতসাহিত করুন।

Forex Rebate : আয় বৃদ্ধির এক অনন্য কৌশল

 ফরেক্স রিবেট   সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ধারনা নেই।rebate-300x200

তাই আজ আমি আপনাদের সাথে ফরেক্স রিবেট সম্পর্কে আলোচনা করব।

 

ফরেক্স রিবেট কি?

সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, ব্রোকার তার লাভের একটি অংশ গ্রাহক এর সাথে শেয়ার করে, এটাকে ফরেক্স রিবেট বলে।কিন্তু ব্রোকার তার লাভ সরাসরি গ্রাহকের সাথে শেয়ার করেনা।ব্রোকার তার মার্কেটিং পার্টনারের সাথে প্রফিট শেয়ারিং করে এবং পার্টনার গ্রাহকের সাথে তা শেয়ার করে।

আপনি আপনার ট্রেডে লাভ করেন বা লছ করেন কোন সমস্যা নেই আপনার ট্রেডের সাথে রিবেট বাড়তে থাকবে এবং এটা কখন ও কমবেনা।

রিবেট এর মাধমে কত আয় হতে পারে?

এটা নির্ভর করে ব্রোকার এবং আপনার ট্রেডের উপর, যেমন- ব্রোকার এর রিবেট হার যদি ১ পিপ এবং আপনি মাসে ১০ লট ট্রেড করেন, তাহলে আপনি প্রায় ১০০ (৮০০০ টাকা) ডলার রিবেট পাবেন।

আমি তো ভাল ট্রেডার, আমার কি রিবেট এর প্রয়োজন আছে?

অবশ্যই আপনি তো ট্রেড করছেন টাকার জন্যই, ভালো ট্রেডার হলে এর মাধ্যমে আপনার নতুন একটি নিশ্চিত আয়ের উৎস হবে।

আর আপনি নতুন ট্রেডার হলে এর মাধ্যমে আপনার লাভের পরিমান আরও বাড়াতে পারেন।

ফরেক্স রিবেট আমি কতদিন পাব?

যতদিন আপনি ফরেক্সে ট্রেড করবেন, ঠিক তত দিন ই রিবেট পাবেন।

  • ব্রোকার নির্বাচন করা সম্পূর্ন আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।অথবা আপনি যে ব্রোকারে টেড করেন সেই ব্রোকারে ই রিবেট পাওয়ার ব্যাবস্থা।

তো আর দেরি কেন? এখন ই জয়েন করে আয় করা শুরু করুন। 

Contact to get Rebate: Skype: BDForexSchool

Forex Session

এই ইন্ডিকেটর দিয়ে আপনি কখন কোন মার্কেট খুলছে জানতে পারবেন। ফলে আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন যে আপনি কোন মার্কেটে ট্রেড করতে চান।

 

Click the link to download the indicator

Download

স্ক্যাল্পিং কি ?

.

 

আপনি হয়তো অনেক জায়গায় স্ক্যাল্পিং শব্দটি শুনেছেন।ফরেক্স জগতে বেশিরভাগ ট্রেডারই স্কাল্পিং করে থাকেন।   মূলত ছোট ট্রেড গুলোই হল স্ক্যাল্পিং। কয়েক মিনিটের ছোট ট্রেড গুলোকে স্ক্যাল্পিং বলা হয়। এই ট্রেড গুলো হতে পারে ১-২০ পিপস। আভিধানিক ভাবে ২০ পিপসের ওপরে প্রফিট হলে তাকে স্ক্যাল্পিং বলা যাবে না। সেটা সাধারন ট্রেড হয়ে যায়।

মার্কেট সবসময়ই ওঠা-নামা করে। আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে কিছু পিপস লুফে নিতে পারেন। কিন্তু স্ক্যাল্পিং কিন্তু ঝুকিপূর্ণ। অনেকেই দেখা যায় কিছু না বুঝে রিস্ক নিয়ে স্ক্যাল্পিং করে। কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়েও অ্যানালাইসিস করা উচিত। কোন ট্রেডেই অ্যানালাইসিস ছাড়া প্রবেশ করা উচিত নয়। স্ক্যাল্পিং করার সময় ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড দেয়াই ভাল। সেক্ষেত্রে ট্রেডে লাভ করার সম্ভবনাটা তুলনামুলক ভাবে বেশি থাকে।

স্ক্যাল্পিং যেহুতু কম সময়ে করা হয়, তাই আমাদের ট্রেড করা উচিত কম সময়ের টাইমফ্রেমে। স্ক্যাল্পিং এর অনেক রুলস আছে। আপনি স্ক্যাল্পিং ট্রেড করার সময় M1, M5, M15 টাইমফ্রেম অনুসরন করতে পারেন।  সেক্ষেত্র বড় টাইমফ্রেম দেখে ট্রেন্ড নির্নয় করে ট্রেন্ড ফলো করে স্কাল্পিং করা উচিত।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, ছোট টাইম ফ্রেমে যদি আপনি ইন্ডিকেটর ফলো করেন তাহলে বড় টাইম ফ্রেমের মতো ভাল ফলাফল নাও পেতে পারেন।  সেক্ষেত্র দুটো কাজ করতে পারেন। এক. কাছাকাছি স্টপ লস দেয়া , যেন লস হলে ছোট ছোট লস হয়। দুই. বড় টাইম ফ্রেমে ট্রেন্ড দেখে সেই টাইম ফ্রেমের ট্রেন্ড অনুযায়ী ট্রেন্ডে থেকে স্কাল্পিং করা।

কিছু কিছু ব্রোকার আছে যারা স্ক্যাল্পিং সাপোর্ট করে না। আবার অনেক ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং এ ২ মিনিট রুলস আছে। ২ মিনিটের আগে ট্রেড ক্লোজ করলে তা বাতিল করে দেয়ার অধিকার ব্রোকার রাখে। তাই আপনি যে ব্রোকারের সাথে ট্রেড করছেন, সেই ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে কোন রুলস আছে কিনা আগে জেনে নিন

মনে রাখবেন, স্ক্যাল্পিং যেমন সুবিধাজনক তেমনি বিপদজনক। তাই স্কাল্পিং করলেও ছোট সাইজ অবশ্যই ছোট রাখবেন এবং কাছাকাছি স্টপ লস দিয়ে ট্রেড করবেন।

বেশিরভাগ ট্রেডারই স্টপলস দিতে চায় না। তাই সারাদিন স্কাল্পিং করে যা প্রফিট করে দিনের শেষে একটা লস ট্রেড ঝুলিয়ে রেখে তার চেয়ে বেশি লস করে দেয়। আপনি যদি ঐ বেশিরভাগ ট্রেডারের ব্যতিক্রম হতে না পারেন তাহলে ফরেক্স ট্রেডে বেশিদিন টিকতে পারবেন না।

কোন প্রশ্ন থাকলে বা কোন সহযোগতার দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন বা আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করতে পারেন।

আমার এই লেখা যদি আপনার সামান্যও ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে পরবর্তী পোস্ট লিখতে উতসাহ যোগাবে।



কিভাবে নিউজ বুঝবেন?

ফরেক্স রোবট কি?

ফরেক্স রিবেট: আয় বৃদ্ধির এক অনন্য কৌশল



 

ব্রোকার কি? ব্রোকার কয় প্রকার ও কি কি?

যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়।

আগের দিনে শুধুমাত্র  বিশাল  ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের  পরিবর্তনের  সাথে সাথে  বিভিন্ন  ফরেক্স  ব্রোকারের  আবির্ভাব  হয়।  ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার  সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।
ফরেক্স মার্কেটে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমানঃ
  • ১। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (Market Maker Broker)
  • ২। নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (NDD Broker

download

ডিলিং ডেস্ক (Market Maker) ব্রোকারঃ

এই প্রকার ব্রোকার Route তথা একটি Way’র মাধ্যমে আপনার ট্রেডটি ওপেন করে, এবং তাদের স্প্রেড সিস্টেম সাধারণভাবে ফিক্সড করা থাকে। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার মূলত স্প্রেডের মাধ্যমে ইনকাম করে এবং ট্রেডারদের প্রত্যেকটি ট্রেড ওপেন এর বিপরীতে নিজেরা আরেকটি ট্রেড ওপেন করে থাকে। এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে কারন তারা ‘মার্কেট মেইক করে অর্থাৎ যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বা বায় অর্ডারটি করে। এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না। তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে। মূলত এরা হল রিটেইল ব্রোকার আর এই সকল ব্রোকার আমাদেরকে কম ইনভেস্টমেন্টে ট্রেড করার সুবিধা দিচ্ছে বলে ওরাও বিনিময়ে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তবে এইসব ব্রোকাররা সব সময় চেষ্টা করে ট্রেডারদের রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করে দিতে।  এই নিয়মে অর্থাৎ Hedge এর মাধ্যমে ট্রেডার এবং ব্রোকার উভয় সুবিধা লাভ করে থাকে।

নো-ডিলিং ডেস্ক (NDD) ব্রোকারঃ

এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে। তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না। আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না। তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না।
নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছেঃ
  • ১। Electronic Communications Network(ECN)
  • ২। Straight Through Processing (STP)
 ECN: নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের একটি টাইপ হল ECN ব্রোকার। আসলে ট্রেডিং মেকানিসম এর পার্থক্যর কারনে এইসব ব্রোকারের সৃষ্টি, এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ডিরেক্টলি ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট রিস্পন্স কনসেপ্টে।
STP: আর এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ইন্টারব্যাংক প্রাইস আক্সিস্টিং লেভেলের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট টু ব্যাংক তথা লিকুডিটি প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।

 

ফরেক্স কপি

ফরেক্স কপি একটি মজার সিসটেম। আপনি যদি ভাল ট্রেডার না হন। তাহলে আপনি অন্য কোন ভাল ট্রেডারকে ফলো করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেই ট্রেডার  যে ট্রেড করবে আপনার একাউন্টেও একই ট্রেড হবে সয়ংক্রিয়ভাবে। বসে বসে প্রফিট। কাউকে ফলো করার জন্য আপনার একাউন্টে কোন প্রকার বোনাস ছাড়া কমপক্ষে  ১০ রিয়াল ডলার থাকতে হবে ।

আপনার একাউনেট কম ডলার থাকলেও আপনি  বেশি ডলার একাউন্ট কে ফলো করতে পারবেন। ট্রেডারকে কপি করার সময় লট রেশিও টা কমিয়ে দিবেন। যেমন ট্রেডার যদি ১ লট্ ট্রেড ওপেন করে তাহলে আপনার ওপেন হবে ০.০১ । .  যাদের ডলার ট্রেডার এর চেয়ে বেশি তারা উল্টোটা করবেন। যেমন ট্রেডার যদি ১ লট  ওপেন করে তাহলে আপনার ওপেন হবে ২ লট।  আপনার ব্যালেন্স এবং ট্রেডারের ব্যালেন্স এর রেশিও মিলিয়ে যেটা নিরাপদ হয় তেমনটাই লট সেট করবেন। প্রয়োজনে ট্রেডারের সাথে আলোচনা করে নিবেন।

সতর্কতা: মনে রাখবেন ট্রেডার প্রফিটে ও থাকলে আপনিও প্রফিটে। ট্রেডার লসে থাকলে আপনিও লসে। আপনার ব্যালান্স শূন্য পযর্ন্ত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্রোকার বা ট্রেডার কেউ আপনাকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরন দেবেনা। এটা মাথায় রেখেই কপি প্রজেক্টে আপনার নামা উচিত।

 

 

 

 

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:  skype: BDForexSchool

Get Forex Bonus Daily

এটি একটি বিশেষ একাউন্ট। এই একা্ন্টের সুবিধা হল প্রতিদিন আপনার ট্রেডের ভিত্ততে আপনি বোনাস পাবেন। যেমন আপনি আজ ১ ডলার করে ১০ টি ট্রেড করেছেন তাহলে আপনি দিন শেষে ১৫ ডলার বোনাস পা্বেন। আপনি লাভে থাকলেও পাবেন, লসে থাকলেও পাবেন।

ধরা যাক, equity ছিল 200 dollar. সারাদিন trade করে loss খেয়ে আপনার equity হয়ে গেল $195 কিন্তু দিন শেষে bonus পেলেন $15 তাহলে আপনার equity হয়ে গেল $210. সতিঃ এটা একটা অসাধারন ব্যপার। একাউন্ট করার জন্য নিচের Form টি পুরন করুন।

ফরেক্স কি?

ফরেক্স শব্দটি হলো ফরেইন কারেন্সি এক্সচেঞ্জ সংক্ষিপ্ত রুপ।  এটার বাংলা অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হলেও অনলাইন ফরেক্স ট্রেডাররা মানি এক্সচেঞ্জ এর মতো কাচা ডলার লেনদেন করেনা। নিজের কম্পিটার বা মোবাইলে বসে ভার্চুয়াল মানি বাই সেল করে। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন এ ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।forex

আমরা যা শিখতে যাচ্ছি তাকে ফরেক্স বলা হলেও এখানে শুধু কারেন্সি ট্রেড হয় এমন না।  বিভিন্ন মেটাল, ওয়েল বা বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ারও বেচাকেনা করা হয়। যেমন আপনি ইচ্ছে করলে গুগল বা ফেসবুকের শেয়ার কিনতে পারবেন।

ফরেক্স করতে কি কি দরকার?