Bollinger Band ইন্ডিকেটরটি John Bollinger নামে একজন টেকনিক্যাল এনালিস্ট মার্কেটের ভোলাটিলিটি এবং মার্কেট কতটুকু ওয়ারবট বা কতটুকু ওভারসোল্ড তা বোঝার জন্য তৈরি করেন।
মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।
Bollinger Band (BB) এর ব্যান্ডগুলি কি?
Bollinger Band (BB) ইন্ডিকেটর টিতে ৩ টি ব্যান্ড থাকে যাকে
- An upper band
- A middle line
- A lower band
অধিকাংশ চার্টিং প্রোগ্রাম ডিফল্টভাবে এটা 20-পিরিয়ডের থাকে, বেশিরভাগ ট্রেডার এই ডিফল্ট সেটিংয়েই ট্রেড করে, কিন্তু আপনি চাইলে মুভিং এভারেজের পিরিয়ড চেঞ্জ করে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন কোন পিরিয়ডে ভাল রেজাল্ট পাওযা যায়। তবে তার আগে ডিফল্ট সেটিংয়ে কিছুদিন অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত।
উপরের এবং নিচের লাইন বা বান্ড দুটি হলো মাঝের লাইন (মুভিং এভারেজের) এর গতানুগতিক বিচ্যুতি বা standard deviation (SD)
যদি উপরের এবং নীচের ব্যান্ডগুলি 1 স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন হয়, তাহলে এর অর্থ হল প্রায় 68% মূল্য পরিবর্তন যেগুলি সাম্প্রতিকভাবে ঘটেছে তা এই ব্যান্ডগুলিতে ভিতরে ছিল।
যদি উপরের এবং নীচের ব্যান্ডগুলি 2 স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন হয়, তাহলে এর অর্থ হল প্রায় 95% মূল্য পরিবর্তন যেগুলি সাম্প্রতিকভাবে ঘটেছে তা এই ব্যান্ডগুলিতে ভিতরে ছিল।
যেহেতু দেখা যাচ্ছে, আপনি ব্যান্ডগুলিতে ব্যবহার করা SD এর মান যত বেশি হয়, তত বেশি মূল্যগুলি ব্যান্ডগুলির ভিতরে থাকে।
বাই ডিফল্ট SD এর মান ২ থাকে, তবে আপনি চাইলে ৩ এ পরিবর্তন করে পরিক্ষা করে দেখতে পারেন রেজাল্ট কেমন পাওয়া যায়।
Bollinger Bounce:
Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?
এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির মাঝখানে চলে এসেছে।
আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড ২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল কাজ করে।
Bollinger Squeeze:
যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে।
যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।
ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস কি বাড়বে না কমবে?
আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।