ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

(Flat Base Candlestick Pattern)

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী চার্ট প্যাটার্ন যা শেয়ার বা স্টক ট্রেডিংয়ে ব্যবহৃত হয়। এই প্যাটার্নটি মূলত একটি সাইডওয়ে ট্রেন্ড বা সঙ্কুচিত বাজারে তৈরি হয় এবং এটি প্রায়ই একটি ট্রেন্ডের বিপরীত বা একটি নতুন ট্রেন্ডের সূচনা নির্দেশ করতে পারে।

এই টিউটোরিয়ালে, আমরা ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের সংজ্ঞা, এর বৈশিষ্ট্য, এবং কিভাবে এটি ট্রেডিংয়ে ব্যবহার করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন কী?

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন হলো একটি চার্ট প্যাটার্ন যা প্রাথমিকভাবে সাইডওয়ে বা ট্রেন্ডলেস মার্কেটে তৈরি হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমায় (যেমন একাধিক দিনের) স্টকের দাম শিরোনাম এবং নিম্ন সীমার মধ্যে থাকে, অর্থাৎ বাজারটি চলতে থাকে কিন্তু কোন নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।

ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্ন সাধারণত একটি ট্রেডিং রেঞ্জে দেখা যায় যেখানে দাম একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে চলে যায় এবং সমতল (ফ্ল্যাট) হয়ে থাকে। যখন এই প্যাটার্ন ভাঙা হয়, এটি পরবর্তী ট্রেন্ডের দিকে একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত হতে পারে।

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্য:

  1. ফ্ল্যাট বেস: প্যাটার্নটির মধ্যে দাম দীর্ঘ সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে চলে যায়। সাধারণত, এই রেঞ্জের উপরে এবং নিচে কিছুটা দোলাচল দেখা যায়, কিন্তু দাম কোন বড় ওঠানামা করে না।
  2. ক্যান্ডেলস্টিক ফর্মেশন: ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্ন তৈরি হওয়ার সময়, এটি সাধারণত কিছু সোজা ক্যান্ডেলস্টিক দ্বারা গঠিত হয়, যেমন ডোজি ক্যান্ডেল, স্পিনিং টপ ক্যান্ডেল, অথবা ছোট বডির ক্যান্ডেল। এই ক্যান্ডেলগুলি পরস্পরের সাথে সীমানা তৈরি করে এবং বাজারের সঙ্কুচিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
  3. প্যাটার্নের ধরন: এই প্যাটার্নটি সাধারণত দুটি প্রধান ধরনের হতে পারে:
    • বুলিশ ফ্ল্যাট বেস: যখন দাম নিচে পড়ে এবং তারপর একটি শক্তিশালী আপট্রেন্ড শুরু হয়।
    • বেয়ারিশ ফ্ল্যাট বেস: যখন দাম উপরে উঠতে থাকে এবং তারপর একটি শক্তিশালী ডাউনট্রেন্ড শুরু হয়।
  4. ভলিউমের পরিবর্তন: ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নের সময়, ভলিউম সাধারণত কম থাকে, কারণ বাজার সাইডওয়েতে থাকে এবং ট্রেডিং কার্যকলাপ সীমিত হয়। তবে, প্যাটার্নটি ভাঙার সময় ভলিউমে একটি স্পাইক দেখা যায়, যা নতুন ট্রেন্ডের সূচনার ইঙ্গিত দেয়।

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন কীভাবে ট্রেড করবেন:

১. প্যাটার্ন চিহ্নিত করা:

প্রথমে আপনাকে সঠিকভাবে ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নটি চিহ্নিত করতে হবে। এটি সাধারনত কিছু দিনের মধ্যে একটি সংকুচিত রেঞ্জে দাম চলতে থাকতে পারে, যেখানে কোনো বড় উঠানামা দেখা যায় না।

২. ব্রেকআউট পর্যবেক্ষণ:

ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নটি একটি রেঞ্জের মধ্যে তৈরি হয়, এবং এটি একটি বড় দিকনির্দেশনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনি যখন এই প্যাটার্নটি চিহ্নিত করবেন, তখন এটি ভাঙার জন্য প্রস্তুত থাকে। ব্রেকআউটের সময়, দাম ওই রেঞ্জের উপরের বা নিচের দিকে চলে যেতে পারে।

  • বুলিশ ব্রেকআউট: যদি দাম ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নের উপরের সীমানা ভেঙে চলে যায়, তবে এটি একটি বুলিশ (আপট্রেন্ড) সংকেত হতে পারে।
  • বেয়ারিশ ব্রেকআউট: যদি দাম ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নের নিচের সীমানা ভেঙে চলে যায়, তবে এটি একটি বেয়ারিশ (ডাউনট্রেন্ড) সংকেত হতে পারে।

৩. ভলিউম মনিটর করা:

ব্রেকআউটের সময় ভলিউম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেকআউট হওয়ার সময় যদি ভলিউম বাড়ে, তবে এটি একটি শক্তিশালী সংকেত হতে পারে যে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। তবে যদি ভলিউম কম থাকে, তবে ব্রেকআউটটি দীর্ঘস্থায়ী হতে নাও পারে।

৪. স্টপ লস এবং টার্গেট সেট করা:

ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নের ট্রেড করার সময়, আপনি অবশ্যই স্টপ লস সেট করবেন। স্টপ লস আপনাকে বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি বুলিশ ব্রেকআউট দেখে ট্রেডে প্রবেশ করেন, তবে স্টপ লস আপনি ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্নের নিচের সীমানার নিচে রাখতে পারেন। আপনার টার্গেটও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করবেন, যেমন ব্রেকআউট পয়েন্ট থেকে কয়েকটি পিপস বা একটি নির্দিষ্ট শতাংশ লাভ।

৫. ট্রেন্ড অনুসরণ করুন:

যেহেতু ফ্ল্যাট বেস প্যাটার্ন প্রায়শই একটি নতুন ট্রেন্ডের সূচনা করে, তাই আপনি যদি সঠিক ব্রেকআউট পয়েন্ট চিহ্নিত করতে পারেন, তবে আপনি নতুন ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড করতে পারবেন। এই সময়ে, ট্রেন্ড ফলো করার কৌশল ব্যবহার করে আপনার লাভ বাড়াতে পারেন।

ফ্ল্যাট বেস ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর প্যাটার্ন যা ট্রেন্ড রিভার্সাল বা নতুন ট্রেন্ডের সূচনা নির্দেশ করতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি বাজারের দিকনির্দেশনা বুঝতে সক্ষম হতে পারেন এবং উপযুক্ত সময়ে ট্রেডে প্রবেশ করতে পারেন। তবে, সবসময় ভলিউম এবং ব্রেকআউট পয়েন্টের দিকে মনোযোগ দিন এবং সঠিক স্টপ লস এবং টার্গেট সেট করতে ভুলবেন না।

Bearish Breakaway

এই চার্ট প্যাটার্নটি খুব ভাল মতো বুঝতে হবে। আপট্রেন্ড মার্কেটে একটি লম্বা বায় ক্যান্ডেল এর পরে যখন ক্রমাগত ছোট হয়ে আরো তিনটি বায় ক্যান্ডেল তৈরি হয় তখন Bearish Breakaway প্যাটার্ন তৈরি হয়। প্যাটার্নটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পঞ্চম ক্যান্ডেলটি সেল ক্যান্ডেল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ৫ম Candle টি শেষ হবে ১ম ও ২য় Candle এর মাঝামাঝি।  প্রথম লং ক্যান্ডেলটির পরে ছোট ছোট আরো তিনটি বায় ক্যান্ডেল এর অবস্থা নির্দেশ করে যে বুলিশ মার্কেট কলাপ্স করছে অর্থাৎ বায়ার ফ্লো কমে যাচ্ছে। তখন মার্কেটের ট্রেন্ড চেঞ্জ হয়ে মার্কেট ডাউন হতে থাকবে।bearish_breakaway

টাইপঃ রিভার্সেল

অর্ডারঃ শর্ট (সেল)

ক্যান্ডেলঃ ৫টি

পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ

সাকসেস রেইটঃ ৭০ %

 

এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ

  • মার্কেট আপট্রেন্ড হতে হবে।
  • প্রথম দিনের বায় ক্যান্ডেলটি বেশ লম্বা হতে হবে।
  • একটি প্রাইস গ্যাপের সাথে পরবর্তী বায় ক্যান্ডেলটি প্রথম দিনের বায় ক্যান্ডেল এর উপরে থাকতে হবে।
  • তৃতীয় এবং চতুর্থ ক্যান্ডেল গুলো সাধারণভাবে মুভ করবে পূর্ববর্তী ক্যান্ডেলের হায়ার প্রাইস লেভেলের মাধ্যমে।
  • এবং শেষ পঞ্চম ক্যান্ডেলটি একটি বড় সেল ক্যান্ডেল হবে যা প্রথম ক্যান্ডেল এর প্রাইস গ্যাপকে ফিল করতে পারবে না কিন্তু ২য়-৪থ ক্যান্ডেল প্রাইস লেভেল কাভার করবে।

এই প্যাটার্নটি প্রাইস গ্যাপে পরিলক্ষিত হয়। যেখানে মোট ৫টি ক্যান্ডেলকে মাথায় রেখে উপরের শর্ত মোতাবেক প্যাটার্ন নিশ্চিত হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মোটামুটি এভারেজ মার্কেটে অর্থাৎ খুব বেশি বায় বা সেল না হলে ও এই প্যাটার্ন তৈরিতে সপ্তাহের শুরুতে ট্রেড করতে পারবেন।

Double Bottom Chart Pattern

মনে রাখবেন ডাবল বটম প্যাটার্নটি, ডাবল টপ প্যাটার্নের সম্পূর্ণ বিপরীত। ডাবল টপ বুঝলে, ডাবল বটম আপনি সহজেই বুঝে যাবেন। এটিও একটি জনপ্রিয় চার্ট প্যাটার্ন। এটিও ডাবল টপের মত একটি রিভারসাল চার্ট প্যাটার্ন।  মানে এটা নির্দেশ করে ট্রেন্ড এখন ঘুরে যাবে, ডাউনট্রেন্ড থেকে আপট্রেন্ডে চলে যাবে। এটি দেখতে W  এর মতো।doublebottom

কিভাবে চিনবেনঃ একটি নির্দিষ্ট লেভেলে প্রাইস ২ বার যেয়ে লো/বটম তৈরি করে আবার ফিরে এসেছে।
কি নির্দেশ করেঃ আপট্রেন্ড

double_bottom_reversal_pattern

কোন সাপোর্টে যখন প্রাইস এভাবে ২ বার বাধা পেয়ে আবার ওপরে ফিরে আসে, তখন বেশিরভাগ সময় মার্কেট আপট্রেন্ডে চলে যায়। এখানে যে সেন্টিমেন্টটি কাজ করে তা হলঃ

“ট্রেডাররা প্রথমে একটি নতুন লো প্রাইস তৈরি করেছে। কিন্তু তা সাপোর্ট হয়ে যাওয়ার কারনে তা ব্রেক করতে পারেনি। ২য় বার ট্রেডাররা আবার সাপোর্টটি রি-টেস্ট করেছে। ২য় বারও ব্রেক করতে না পারায় এটা শক্তিশালী সাপোর্ট হিসেবে ধরে আবার বাই পজিশন নিয়েছে।”

 

তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে চার্টে ডাবল বটম দেখা গেলে পরবর্তীতে মার্কেট আপ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।

Double Top Chart Pattern

এই চার্ট প্যাটার্নটি ডাবল টপ চার্ট প্যাটার্ন বা ডাবল টপ রিভার্সাল চার্ট প্যাটার্ন নামে পরিচিত। এটি একটি জনপ্রিয় চার্ট প্যাটার্ন। চার্টে মাঝে মাঝেই এই প্যাটার্নটি দেখা যায়। এটি একটি রিভারসাল চার্ট প্যাটার্ন। মানে এটা নির্দেশ করে ট্রেন্ড এখন ঘুরে যাবে, আপট্রেন্ড থেকে ডাউনট্রেন্ডে চলে যাবে। এটি দেখতে অনেকটা M এর মতো।doubletop

কিভাবে চিনবেনঃ একটি নির্দিষ্ট লেভেলে প্রাইস ২ বার যেয়ে হাই/টপ তৈরি করে আবার ফিরে এসেছে।
কি নির্দেশ করেঃ ডাউনট্রেন্ড

double-top-chart-pattern

কোন রেসিসট্যান্সে যখন প্রাইস এভাবে ২ বার বাধা পেয়ে আবার ফিরে আসে, তখন বেশিরভাগ সময় মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে চলে যায়। এখানে যে সেন্টিমেন্টটি কাজ করে তা হলঃ

“ট্রেডাররা প্রথমে একটি নতুন হাই প্রাইস তৈরি করেছে। কিন্তু তা রেসিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়ার কারনে তা ব্রেক করতে পারেনি। ২য় বার ট্রেডাররা আবার রেসিসট্যান্সটি রি-টেস্ট করেছে। ২য় বারও ব্রেক করতে না পারায় এটা শক্তিশালী রেসিসট্যান্স ধরে আবার সেল পজিশন নিয়েছে।”
তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে চার্টে ডাবল টপ দেখা গেলে পরবর্তীতে মার্কেট ডাউন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।

Three white soldiers

Three white soldiers

টাইপঃ রিভার্সেল

অর্ডারঃ লং (বায়)

ক্যান্ডেলঃ ৩টি

পূর্বের ট্রেন্ডঃ বেয়ারিশ

সাকসেস রেইটঃ ৯৫ %

Bullish Three white soldiers প্যাটার্ন টি হল ডাউনট্রেন্ড মার্কেট এর একটি স্ট্রং রিভার্সেল প্যাটার্ন। একটি বড় ডাউনট্রেন্ড মার্কেটের পরে যখন পরপর তিনটি লং বায় ক্যান্ডেল সাদৃশ্য হয়ে নিচ থেকে উপরমুখী একটি সিঁড়ির মত তখন Bearish Three white soldiers Reversal Pattern ফর্ম হয়। এই ক্ষেত্রে ওপেনিং ক্যান্ডেল প্রাইস লেভেল বিগত দিনের ক্যান্ডেল প্রাইস ক্লোজ লেভেল এর একটি নিচ থেকে শুরু হয়। যা পরপর তিনটি ক্যান্ডেলে পৌছালে এই প্যাটার্নে বেয়ারিশ মার্কেট তথা সেলিং ফ্লো দুর্বল হয়ে গেছে বুঝে এবং মার্কেট বায় ট্রেন্ড বুঝতে পারা যায়।bullish_three_white_soldiers

এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ

  • মার্কেট ডাউনট্রেন্ড হতে হবে।
  • পরপর তিনটি বায় ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হবে।
  • প্রতিটি ক্যান্ডেলস্টিক একটি নতুন হায়ার লেভেল ক্লোজ হবে ।
  • প্রতিদিনের ওপেনিং ক্যান্ডেলস্টিক পূর্বদিনের ক্যান্ডেলস্টিক বডির মোটামুটি অর্ধাংশ জুড়ে বেড়ে উঠবে।

three-black-crows-three-white-soldiersএই প্যাটার্নে ট্রেড করে ভালো ফলাফল পেতে নিশ্চিত হউন যে মার্কেট যথেষ্ট পরিমাণে সেল ট্রেন্ডে ছিল কি না, বড় কোন সেল ট্রেন্ড এর পরে এই প্যাটার্নে ট্রেড করে ১৫০-২০০ পিপস পর্যন্ত নেওয়া যায়। লং টাইম ট্রেডাররা এই সব প্যাটার্নে ৪০০ পিপস পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। এই প্যাটার্নটি ছোট টাইম ফ্রেমে খুব বেশি ভালো কাজ দেয় না।

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ফরেক্স ট্রেডিং চার্টে আমরা ৩ প্রকোর চার্ট দেখতে পাই Bar Chart, Candlesticks এবং Line chart. এর মধ্যে Candlesticks হল সবচেয়ে জনপ্রিয়. এই Candlesticks  ফর্মুলা জাপানীদের তৈরি। সকল দেশের অভিজ্ঞ ট্রেডাররাই Candlesticks  Chart ব্যবহার করেন। কারন, এই Candlesticks  এর কিছুু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে  যার দ্বারা ট্রেডিং মার্কেটের ট্রন্ড,  অবস্থান, আচরন এবং ট্রেডিং দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়.

 ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস পরিবর্তনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে সংজ্ঞায়িত করে ট্রেডিং এর যে একটি পদ্ধতি তা-ই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস’.  যেখানে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক বিভিন্ন প্যাটার্ন দেখে পরবর্তী মার্কেট প্রাইস সিগনাল পেয়ে যাবেন।  যে বিশের অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন দিয়ে ট্রেড করে।

ক্যান্ডেলস্টিক শত শত প্যাটার্ন রয়েছে সব গুলো প্যাটার্ন আপনার পক্ষে মনে রেখে ট্রেড করা সম্ভব নয়। এবং সব গুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর কাজে আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবেন না। তাই মুলত যেসব ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন গুলোর ভালো ট্রেডিং সাকসেস রেইট রয়েছে আমি মুলত সেই প্যাটার্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পরিচিতিঃ

ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু’ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত(Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়।

bdforexpro_candlestick_intro.png

প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু(Open) করে উপর দিকে শেষ(Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু(Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ(Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত। ধরি আপনি ১৫ মিনিট টাইম ফ্রেমে আছেন তাহলে প্রতিটি ক্যান্ডেল তৈরি বা শেষ হবে ১৫ মিনিট পরপর। এই ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিতে ক্যান্ডেল শুরু এবং শেষ টা নিশ্চিত হতে পারেন।

কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?

forex best time frame

এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M15, M30 অথবা H1 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার H1,  H4 অথবা  D1 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।

 

একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যত বড় টাইম ফ্রেমে যাবেন, আপনার এনালাইসিস ততো বেশি নিখুত হবে। বিশেষ করে ক্যান্ডালস্টিক এনালাইসিস। তাই অভীজ্ঞ ট্রেডাররা বড় টাইমফ্রেমকেই বেশি পছন্দ করেন।