ডে ট্রেডিং কি?

ডে ট্রেডিং একটি শর্ট-টার্ম ট্রেডিং স্টাইল। ডে ট্রেডার সাধারনত দিনে একটি ট্রেড দেয় এবং দিন শেষ হওয়ার আগে তা আবার ক্লোজ করে দেয়।

ডে ট্রেডার সাধারনত পজিশন সারারাত ওপেন রাখতে পছন্দ করে না। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দিনের মধ্যে লাভ নিয়ে নেয়া। 

একজন ডে ট্রেডারের অ্যানালাইটিক্যাল স্কিল খুব ভালো হতে হয়। তারা  বিভিন্ন ইনডিকেটর এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল ট্যুল ব্যাবহার করে থাকে। এছাড়াও, অর্থনীতি সম্পর্কে তার ভালো ধারনা থাকতে হয় যাতে সে ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং সিগন্যাল চিহ্নিত করতে পারে। এছাড়াও, তারকাছে শক্তিশালী এক্সিট স্ট্রাটেজি থাকতে হবে যাতে সে দিনের শেষে তার ওপেনকৃত পজিশনগুলো সবচেয়ে বেশী লাভে ক্লোজ করতে পারে।

যেহেতু ডে ট্রেডাররা প্রায়ই তাদের পজিশন ক্লজ করে বা ওপেন করে, তাই তারা সাধারনত লিকুইড কারেন্সিগুলোতে ট্রেড করে যাতে তাদের স্প্রেডের খরচ কম হয়।

Martin S. Schwartz হচ্ছে ডে ট্রেডারের একটি ভালো নিদর্শন, এই লোকের সাহস এবং বুদ্ধিমত্তা তারজন্য প্রচুর অর্থ নিয়ে এসেছে এবং উপযুক্ত নাম পিট বুল উপাধি পেয়েছে। সে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে যখন সে ১৯৮৪ সালে ইউএস ইনভেস্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। তার ডে ট্রেডিং স্টাইল সেসময়ে অপরাজেয় ছিলো। সে কখনো নিজের পজিশন খুব বেশি সময় ধরে রাখতো না। ট্রেডে এন্ট্রি নিতে সে টেকনিক্যাল ইনডিকেটর ব্যাবহার করতো এবং অর্থনৈতিক রিপোর্ট এবং অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিসের সিগন্যাল দেখতো।

যখন নিউজ এবং ফান্ডামেন্টাল ডাটার সময় আসে, তখন বেশিরভাগ ট্রেডার প্রকাশিত সংখ্যার দিকে নজর দেয় আর চিন্তা করে যে মার্কেট নিউজ রিলিজের অনুযায়ী মুভ করছে না কেন। Marty Schwartz এর এই বিশ্বাস ছিলো যে ট্রেড ইকনোমিক রিলিজের প্রকাশিত সংখ্যার ভিত্তিতে হবে না, বড়ং মার্কেটে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়ার ওপর যা ডাটা প্রকাশনার পরে দেখা যায়। Marty ট্রেডারদের তাদের নিজেদের ধারনা, চিন্তাভাবনার কথা ভুলে যেতে বলেছে, এবং মার্কেট কি বলছে তা শুনতে বলেছে, কারন ট্রেডের উদ্দেশ্য আপনার ধরনা নিশ্চিত করা নয়, বড়ং অর্থ উপার্জন করা।

আমাদের ডে ট্রেডার প্রাইসের দিক নির্ধারণ করতে প্রায়ই টেকনিক্যাল ইনডিকেটর ব্যাবহার করতো। তার সর্বকালের পছন্দের ট্যুল ছিলো ১০-পিরিয়োডের এক্সপনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (ইএমএ) এই টেকনিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টটি Marty কে শর্ট-টার্ম ট্রেডে বুলিশ এবং বিয়ারিশ দৃশ্যকল্পের পার্থক্য করতে সহায়তা করতো।

ফরেক্স রোবট কি?

Expert Advisor বা EA ফরেক্স রোবট নামেই বেশি পরিচিত।imagesএক্সপার্ট এডভাইসর হল এক ধরনের প্রোগ্রাম যা একাকি ট্রেড ওপেন করতে পারে এবং ট্রেড ক্লোজ করতে পারে। প্রতিটি রোবট বা EA তাদের নিদের্শনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট  স্ট্রাটেজিতে ট্রেড করে। ফলে অনেক এক্সপার্ট এডভাইসর বা রোবটই প্রফিট করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ এক্সপার্ট এডভাইসর কিনতে হয় এবং লাইসেন্স লাগে। ফ্রি এক্সপার্ট এডভাইসরগুলো তেমন ভাল কাজ করে না। এক্সপার্ট এডভাইসর আপনাকে ব্যাপক লসের সম্মুখীনও করতে পারে। তাই রিয়াল একাউন্টে রোবট ব্যবহারের আগে অবশ্যই আগে ডেমোতে টেস্ট করে নিবেন।

ক্রস কারেন্সি পেয়ার কি?

ফরেক্সে মেজর কারেন্সি পেয়ারগুলো হচ্ছে ডলার বেইজড। যেমনঃ EUR/USD, GBP/USD, USD/JPY, AUD/USD ইত্যাদি। লক্ষ্য করুন, এগুলোর প্রত্যেকটিতেই কিন্তু দুটো কারেন্সির একটি হচ্ছে ডলার (USD)

যখন একটি কারেন্সি পেয়ারের দুটো কারেন্সির কোনটিই ডলার নয়, তখন তাকে বলা হয় ক্রস কারেন্সি পেয়ার বা কারেন্সি ক্রস পেয়ার। অনেকে, আদর করে শুধু ক্রস নামেও ডাকে।

একটা সময় ছিল যখন একটি কারেন্সির বিপরীতে ডলার ছাড়া সরাসরি আরেকটি কারেন্সি ট্রেড করা যেতো না। উদাহরনস্বরূপ, ইউরোকে পাউন্ডে কনভার্ট করতে হলে প্রথমে একে ডলারে কনভার্ট করতে হতে (EUR/USD এর রেট অনুসারে) এবং তারপর আবার ডলারকে পাউন্ডে (GBP) রুপান্তরিত করতে হত। (GBP/USD এর রেট অনুসারে)। .ক্রস কারেন্সি পেয়ার চলে আসায় এখন আর এই ঝামেলা রইল না। চাইলেই আপনি ইউরোকে পাউন্ড অথবা অন্য কোন মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে পারবেন।

কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রস কারেন্সি পেয়ারঃ EUR/JPY, GBP/JPY, EUR/GBP ইত্যাদি।

ক্রস কারেন্সি পেয়ারের সুবিধা কি?

ক্রস কারেন্সি পেয়ারগুলো চলে আসায় অনেক সুবিধা হয়েছে ফরেক্স ট্রেডারদের।

প্রথমত, আপনি এখন অনেক বেশি কারেন্সি পেয়ার ট্রেড করতে পারছেন। সাতটা ডলার বেইজড পেয়ারের ক্রস কারেন্সি পেয়ার হতে পারে ২১ টি, মানে মোট ২৮ টি। ডলার বেইজড পেয়ার যত বাড়বে, ক্রস কারেন্সি পেয়ারও তত বাড়বে।

ধরুন, আপনার ট্রেডিং সিস্টেম ডলার বেইজড পেয়ারগুলোর জন্য কোন সিগন্যাগ দিচ্ছে না কিন্তু কোন একটি ক্রস পেয়ারে শক্তিশালী সিগন্যাল দিচ্ছে। তাহলে, আপনি বেকার না বসে থেকে ওই কারেন্সি পেয়ারটি ট্রেড করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, কোন কারেন্সিটি বেশি শক্তিশালী তা বের করা

আসলাম শুভ্রকে এটাই দেখতে বলেছিল। চলুন দেখি কি সেটা।

ধরুন, EUR/USD এবং GBP/USD, দুটি পেয়ারই বাই সিগন্যাল দেখাচ্ছে। তার মানে, দুটোই বাড়বে। কিন্তু, কোন পেয়ারটি বেশি বাড়তে পারে? তার একটা ধারনা পাওয়া যায় যদি আপনি EUR/GBP পেয়ারটির দিকে তাকান।

যদি EUR/GBP আগের থেকে শক্তিশালী হয় বা বৃদ্ধি পায়, তার মানে, EUR, GBP বা পাউন্ড থেকে শক্তিশালী এই মুহূর্তে। তাই, EUR/USD , GBP/USD থেকে বেশি বাড়তে পারে।

আর যদি EUR/GBP আগের থেকে দুর্বল হয়, তার মানে GBP, EUR থেকে বেশি শক্তিশালী হচ্ছে যার মানে, GBP/USD বাই দেয়া শ্রেয়।

এভাবে ক্রস পেয়ার ব্যবহার করে দুটো মেজর কারেন্সির মধ্যে তুলনামূলক বেশি কোনটি শক্তিশালি তা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, আপনি যদি কোন পেয়ার ট্রেড করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকেন, তাহলে ক্রস কারেন্সি পেয়ার সেক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

তৃতীয়ত,

ধরুন, আপনি মনে করছেন আজকে ইউরো দুর্বল হবে কেননা ইউরো জোন থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। অপরদিকে, যুক্তরাজ্য সুদের হার মাত্র বৃদ্ধি করল, মানে নিঃসন্দেহেই শক্তিশালী হবে পাউন্ড। সেক্ষেত্রে, EUR/USD অথবা GBP/USD ট্রেড করা থেকে কিন্তু সরাসরি EUR/GBP সেল দেয়াই ভালো। কারন, ডলার শক্তিশালী নাকি দুর্বল হবে, তা আপনি জানেন না। এক্ষেত্রে, EUR/GBP ট্রেড করলে, ডলারের মুল্য পরিবর্তন আপনার ট্রেডকে তেমন একটা প্রভাবিত করবে না।

অনেকেই, তাই নিউজ ইফেক্ট পরিহার করার জন্য, নিউজকালীন সময়ে ক্রস কারেন্সি পেয়ার ব্যবহার করেন।

পিপস্ এবং পিপেটস্ কি?

পিপস:

ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪র্থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।

 

পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।

 

উদহারন ১:

 

আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ ।

 

কয় পিপস পরিবর্তন হল?

 

বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ – ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫

 

আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ

 

৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫

 

অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।

 

তাহলে এবার বলুন,

 

উদহারন ২:

 

GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।

 

আরও কিছুঃ

 

মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ – ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ – ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ – ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ – ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ

 

ধাঁধা ২:

 

EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০।

 

মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

 

পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা –

 

ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।

 

Pipettes (পিপেটস):

কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেট। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটস পরিবর্তন হয়েছে।

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ফরেক্স ট্রেডিং চার্টে আমরা ৩ প্রকোর চার্ট দেখতে পাই Bar Chart, Candlesticks এবং Line chart. এর মধ্যে Candlesticks হল সবচেয়ে জনপ্রিয়. এই Candlesticks  ফর্মুলা জাপানীদের তৈরি। সকল দেশের অভিজ্ঞ ট্রেডাররাই Candlesticks  Chart ব্যবহার করেন। কারন, এই Candlesticks  এর কিছুু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে  যার দ্বারা ট্রেডিং মার্কেটের ট্রন্ড,  অবস্থান, আচরন এবং ট্রেডিং দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়.

 ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস পরিবর্তনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে সংজ্ঞায়িত করে ট্রেডিং এর যে একটি পদ্ধতি তা-ই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস’.  যেখানে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক বিভিন্ন প্যাটার্ন দেখে পরবর্তী মার্কেট প্রাইস সিগনাল পেয়ে যাবেন।  যে বিশের অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন দিয়ে ট্রেড করে।

ক্যান্ডেলস্টিক শত শত প্যাটার্ন রয়েছে সব গুলো প্যাটার্ন আপনার পক্ষে মনে রেখে ট্রেড করা সম্ভব নয়। এবং সব গুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর কাজে আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবেন না। তাই মুলত যেসব ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন গুলোর ভালো ট্রেডিং সাকসেস রেইট রয়েছে আমি মুলত সেই প্যাটার্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পরিচিতিঃ

ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু’ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত(Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়।

bdforexpro_candlestick_intro.png

প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু(Open) করে উপর দিকে শেষ(Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু(Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ(Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত। ধরি আপনি ১৫ মিনিট টাইম ফ্রেমে আছেন তাহলে প্রতিটি ক্যান্ডেল তৈরি বা শেষ হবে ১৫ মিনিট পরপর। এই ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিতে ক্যান্ডেল শুরু এবং শেষ টা নিশ্চিত হতে পারেন।

ফরেক্স ট্রেড কি খু্বই রিস্কি?

সেটা সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি চাইলে ১০ মিনিটেই  আপনার একাউন্ট  শূন্য হয়ে যেতে পারে আর আপনি না চাইলে আপনার একাউন্ট কোনদিনও শূন্য হবেনা। অর্থাত আপনার একাউন্ট শূন্য করার ক্ষমতা শুধু আপনার কাছে। সেখেত্রে অভিজ্ঞ কোন ট্রেডারের সহযোগিতা খুবই জরুরী। শুধু Google search  করে আর blog এর post পড়ে যারা trade করে তাদের ফলাফল ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রে গালি দিতে দিতে ফরেক্স থেকে বের হয়ে যায়।

ফরেক্স কি?

ফরেক্স শব্দটি হলো ফরেইন কারেন্সি এক্সচেঞ্জ সংক্ষিপ্ত রুপ।  এটার বাংলা অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হলেও অনলাইন ফরেক্স ট্রেডাররা মানি এক্সচেঞ্জ এর মতো কাচা ডলার লেনদেন করেনা। নিজের কম্পিটার বা মোবাইলে বসে ভার্চুয়াল মানি বাই সেল করে। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন এ ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।forex

আমরা যা শিখতে যাচ্ছি তাকে ফরেক্স বলা হলেও এখানে শুধু কারেন্সি ট্রেড হয় এমন না।  বিভিন্ন মেটাল, ওয়েল বা বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ারও বেচাকেনা করা হয়। যেমন আপনি ইচ্ছে করলে গুগল বা ফেসবুকের শেয়ার কিনতে পারবেন।

ফরেক্স করতে কি কি দরকার?