ফরেক্স ট্রেডে লস হওয়ার কারন সমূহ

ফরেক্স ট্রেডে লস হওয়ার কারন:

 

আমরা একথা অনেক শুনেছি যে, ফরেক্স যারা শুরু করেন তাদের শতকরা ৯৫ জনই তাদের প্রথম একাউন্ট হারান অর্থাত শুন্য হয়ে যান। কিন্তু কেন? কারন তারা ফরেক্সের বেসিক রুলস গুলো মেনে চলে না। দেখা যাক কি কি কারন ট্রেডাররা ফরেক্সে লস করে।

 

• অভিজ্ঞতার অভাবঃ প্রথম দৃষ্টিতে ফরেক্স কিন্তু সহজ মনে হয়। কারন যেহুতু লাভ অথবা লস, আন্দাজে ট্রেড করে অনেকেই প্রচুর লাভ করে ফেলে। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে রিয়েল ট্রেডিং করবে। কিন্তু আপনি লস না করলে কখন বুঝতে পারবেন না যে কিভাবে আপনি ঐ সকল অবস্থাগুলো পরে মোকাবেলা করবেন। সেজন্য আপনাকে অনেকদিন সিরিয়াসলি ডেমোতে ট্রেড করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ডেমোতে এত সময় ট্রেড করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে সেন্ট অ্যাকাউন্টে ট্রেড করতে পারেন। ধরে রাখুন ফরেক্সে আপনার প্রথম ২টি ডিপোজিট আপনি হারাবেন। বুঝে ট্রেড করার চেষ্টা করুন। দেখবেন তখন ট্রেডিং অনেকটা সহজ লাগবে।

• সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীলতাঃ অধিকাংশ ট্রেডার সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীল। বন্ধুদের কথায় বা অপরিচিত লোকের কথায় ট্রেড করে। নিজে কোন অ্যানালাইসিস না করে কেউ বাই করতে বললেই বাই করে, সেল করতে বললে সেল করে। পরিনামে লস। আবার কেউ কেউ তো $১০০-$২০০ দিয়ে সিগন্যালও কিনে থাকেন। কিন্তু একটা কথা ভাবুন, যদি সিগন্যাল গুলো আসলেই সবসময় পারফেক্ট হত, তাহলে কেন সিগন্যাল প্রভাইডার তা বিক্রয় করছে? সে নিজে ট্রেড করেই তো বিল গেটস হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, কারো কোন কথা শুনে বা চার্ট দেখে ঝোঁকের বসে ট্রেড করবেন না। নিজে যা বুঝেন, তা দিয়ে ট্রেড করার চেষ্টা করুন। আরও শেখার চেষ্টা করুন। অন্যদের জিজ্ঞেস করুন।

• উদ্দেশবিহীন ট্রেডিং করাঃ অধিকাংশ ট্রেডার জানে না যে বাই করতে হবে না সেল করতে হবে। প্রাইস একটু বেড়ে গেলেই তারা মনে করে যে এটা আবার কমবে, তখন সেল ট্রেড দিয়ে বসে। এভাবে ট্রেড করলে আজীবনই লস খাবেন। মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে চেষ্টা করুন। বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলের ইন্ডিকেটর সেকশনে দেখুন কিছু বেসিক ইন্ডিকেটর সম্পর্কে দেয়া আছে। এগুলো এবং সাথে অন্য ইন্ডিকেটর নিয়ে গবেষনা করুন। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের কিছু কিছু জিনিস শেখার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে সব কিছুই আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।

• বড় রিস্ক নিয়ে ট্রেড করাঃ অধিকাংশ মানুষ ফরেক্সকে মানি মেকিং মেশিন মনে করে। মনে করে ফরেক্সে ১ দিনেই ব্যালেন্স দ্বিগুণ করা যায়। অধিকাংশ ট্রেডার তার ক্যাপিটালের অনুপাতে অনেক বড় রিস্ক নিয়ে ট্রেড করে। দেখা যায় অ্যাকাউন্টে $১০০ আছে, কিন্তু $১ পিপস ভ্যালুর ট্রেড ওপেন করে বসে আছে। ১০০ পিপস আপনার বিপরিতে মুভ করলেই আপনি ফকির হয়ে যাবেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত নিন, মানি ম্যানেজমেন্ট করতে শুরু করুন।

• ট্রেডিং স্ট্রাটেজি না থাকাঃ আপনার অবশ্যই একটি ট্রেডিং স্ট্রাটেজি থাকা উচিত। আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন, কত পিপস স্টপ লস বা টেক প্রফিট ব্যবহার করবেন, কত ভলিউমে ট্রেড করবেন সবকিছু আগে থেকেই সেট করে রাখা উচিত। এবং আপনার সব ট্রেডেই তা ফলো করা উচিত। তা নাহলে দেখা যাবে একটি ট্রেডে আপনার প্রফিট ৫০ পিপসে $৫, আরেকটি বড় রিস্ক নিয়ে করা ট্রেডে লস ৫০ পিপসে $৫০. তাই সবার প্রথমে আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করুন। অন্যদের ট্রেডিং স্ট্রাটেজি দেখুন, তারপর যেটা ভাল লাগে, পরিবর্তন করে নিজের পছন্দমত নিজের ট্রেডিং সিস্টেম তৈরি করুন।

• নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকাঃ অনেক ট্রেডার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা মনে করে প্রাইস এখন বাড়বে বা কমবে এবং সেই অনুসারে ট্রেড করে কোন প্রকার অ্যানালাইসিস ছাড়া। কিন্তু মানুষই মানুষের শত্রু। নিজেকে বিশ্বাস করবেন না। মার্কেট কি বলে তা দেখুন।

লস ঠেকাতে এই কথাগুলো মনে রাখবেনঃ

• লোভ করবেন না

• ইমোশনাল হবেন না

• নিজের মনগড়া সিদ্ধান্তে ট্রেড করবেন না

• মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করে ট্রেড করবেন

• ট্রেডিং স্ট্রাটেজি মেনে চলবেন

• অ্যানালাইসিস ছাড়া কোন ট্রেড করবেন না

মানি ম্যানেজমেন্ট কি?

চলুন এবার আমরা মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলাচনা করি। মানি ম্যানেজমেন্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ফরেক্স ট্রেডাররা তাদের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করে থাকে। ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরী। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টকে সর্বদা লস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করলে আপনার ক্যাপিটাল হারানোর সম্ভাবনা খুব কম।

 

 

 

ভাল মানি ম্যানেজমেন্টের কিছু নিয়ম রয়েছেঃ

 

১. অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ নিয়ে রিস্ক নিনঃ

 

অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ রিস্ক নেয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কারন হচ্ছে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে, তারপর প্রফিটের কথা ভাবতে হবে।

ভালো ট্রেডার তারাই যারা তাদের অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে সচেতন।

যদি আপনি কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করেন তবে কোন ট্রেডে আপনার লস অনেক বেশী হলেও চাইলে আপনি আপনার ট্রেডটিকে হোল্ড করতে পারবেন।

 

ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট পার্সেনটেজের কম এবং বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেডের একটি উদাহরন নিচে দেখা যাক। দেখুন টানা ১০টি ট্রেডে লস আপনার অ্যাকাউন্টের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে।

 

 

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ২% রিস্ক এবং ১০% রিস্কের মধ্যে পার্থক্য। কেউ সহজে টানা ১০টি ট্রেড হারেনা। যদিও আপনি সবচেয়ে খারাপ ট্রেড করেন, তবুও ২% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেডে হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ১৭% হারাবেন, যেখানে প্রতি ট্রেডে ১০% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেড হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ৬০% এর বেশী হারাবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছেন মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। আপনি যদি ঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারেন তবে আপনি ব্যাপক লসের সম্মুখিন হতে পারেন।

 

 

. হারান ক্যাপিটাল পুনরুদ্ধার করা কঠিনঃ

 

কেউ যদি তার অ্যাকাউন্টের কিছু অংশ হারায়, তাহলে তা পুনরুদ্ধার করা কতটা কঠিন?

 

 

আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টের ৫০% হারান, তাহলে আপনাকে লস রিকভার করতে আপনার নতুন ব্যালেন্সের ১০০% লাভ করতে হবে। আর যদি ৭৫% হারান, তবে নতুন ব্যালেন্সের ৩০০% প্রফিট করতে হবে শুধুমাত্র পূর্বের লস রিকভার করার জন্য। তাই আপনি যদি একবার বিরাট লস করে তারপর সেই লস রিকভার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবে প্রফিট করবে কে?

 

এখানেই চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করে দেখুন ডেমো অ্যাকাউন্টে ৩০০% অথবা আপনার রিয়েল অ্যাকাউন্টে অন্তত ১০০% প্রফিট করতে পারেন কিনা। এটা অতটা সহজ হবেনা। মানি ম্যানেজমেন্ট এই জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

৩. ট্রেড করার আগে রিস্কঃরিওয়ার্ড রেশিও হিসাব করুনঃ

 

যখন একটি ট্রেডে লস করার সম্ভবনা প্রফিট করার থেকে বেশী, তখন ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। সবসময় ট্রেড করতে হবে এমন কোন কথা নেই।

 

উদাহরনসরূপঃ

১. ৪০ পিপস লস vs ৩০ পিপস প্রফিট

২. ২০ পিপস লস vs ২০ পিপস প্রফিট

 

২টি উদাহরনই বাজে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের উদাহরন।

 

একটি ট্রেড ওপেন করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও অন্তত ১:২ (১:৩ রেশিও বা এর থেকে বেশী ভাল)।

এর মানে হচ্ছে আপনার এমন একটি ট্রেডই ওপেন করা উচিত যেটাতে আপনার লস করার সম্ভবনা থেকে লাভের সম্ভবনা ততগুন হবে। যেমনঃ আপনি ৩০ পিপস লস করার পরিপেক্ষিতে ১০০ পিপস লাভ করতে পারবেন এমন ট্রেডে এন্ট্রি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্টের এই রুলসটি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তবে তা পরবর্তীতে আপনাকে সাফল্য পেতে এবং স্ট্যাবল প্রফিট পেতে সাহায্য করবে।

 

 

রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিওর নিচের চার্টটি দেখুন। এখানে ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে ১০টি ট্রেড করা হয়েছে।

একজন যখন কোন ট্রেডে লস করে, তখন সে $১০০ ডলার হারিয়েছে। কিন্তু তার প্রতিটি প্রফিটেবল ট্রেডে সে $৩০০ ডলার প্রফিট করেছে।

 

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে কোন ট্রেডার যদি ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে যদি ৫০% ট্রেডেও সফল হয়, তবুও সে ভাল পরিমান লাভ করতে পারে।

 

Forex Session

এই ইন্ডিকেটর দিয়ে আপনি কখন কোন মার্কেট খুলছে জানতে পারবেন। ফলে আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন যে আপনি কোন মার্কেটে ট্রেড করতে চান।

 

Click the link to download the indicator

Download

স্ক্যাল্পিং কি ?

.

 

আপনি হয়তো অনেক জায়গায় স্ক্যাল্পিং শব্দটি শুনেছেন।ফরেক্স জগতে বেশিরভাগ ট্রেডারই স্কাল্পিং করে থাকেন।   মূলত ছোট ট্রেড গুলোই হল স্ক্যাল্পিং। কয়েক মিনিটের ছোট ট্রেড গুলোকে স্ক্যাল্পিং বলা হয়। এই ট্রেড গুলো হতে পারে ১-২০ পিপস। আভিধানিক ভাবে ২০ পিপসের ওপরে প্রফিট হলে তাকে স্ক্যাল্পিং বলা যাবে না। সেটা সাধারন ট্রেড হয়ে যায়।

মার্কেট সবসময়ই ওঠা-নামা করে। আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে কিছু পিপস লুফে নিতে পারেন। কিন্তু স্ক্যাল্পিং কিন্তু ঝুকিপূর্ণ। অনেকেই দেখা যায় কিছু না বুঝে রিস্ক নিয়ে স্ক্যাল্পিং করে। কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়েও অ্যানালাইসিস করা উচিত। কোন ট্রেডেই অ্যানালাইসিস ছাড়া প্রবেশ করা উচিত নয়। স্ক্যাল্পিং করার সময় ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড দেয়াই ভাল। সেক্ষেত্রে ট্রেডে লাভ করার সম্ভবনাটা তুলনামুলক ভাবে বেশি থাকে।

স্ক্যাল্পিং যেহুতু কম সময়ে করা হয়, তাই আমাদের ট্রেড করা উচিত কম সময়ের টাইমফ্রেমে। স্ক্যাল্পিং এর অনেক রুলস আছে। আপনি স্ক্যাল্পিং ট্রেড করার সময় M1, M5, M15 টাইমফ্রেম অনুসরন করতে পারেন।  সেক্ষেত্র বড় টাইমফ্রেম দেখে ট্রেন্ড নির্নয় করে ট্রেন্ড ফলো করে স্কাল্পিং করা উচিত।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, ছোট টাইম ফ্রেমে যদি আপনি ইন্ডিকেটর ফলো করেন তাহলে বড় টাইম ফ্রেমের মতো ভাল ফলাফল নাও পেতে পারেন।  সেক্ষেত্র দুটো কাজ করতে পারেন। এক. কাছাকাছি স্টপ লস দেয়া , যেন লস হলে ছোট ছোট লস হয়। দুই. বড় টাইম ফ্রেমে ট্রেন্ড দেখে সেই টাইম ফ্রেমের ট্রেন্ড অনুযায়ী ট্রেন্ডে থেকে স্কাল্পিং করা।

কিছু কিছু ব্রোকার আছে যারা স্ক্যাল্পিং সাপোর্ট করে না। আবার অনেক ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং এ ২ মিনিট রুলস আছে। ২ মিনিটের আগে ট্রেড ক্লোজ করলে তা বাতিল করে দেয়ার অধিকার ব্রোকার রাখে। তাই আপনি যে ব্রোকারের সাথে ট্রেড করছেন, সেই ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে কোন রুলস আছে কিনা আগে জেনে নিন

মনে রাখবেন, স্ক্যাল্পিং যেমন সুবিধাজনক তেমনি বিপদজনক। তাই স্কাল্পিং করলেও ছোট সাইজ অবশ্যই ছোট রাখবেন এবং কাছাকাছি স্টপ লস দিয়ে ট্রেড করবেন।

বেশিরভাগ ট্রেডারই স্টপলস দিতে চায় না। তাই সারাদিন স্কাল্পিং করে যা প্রফিট করে দিনের শেষে একটা লস ট্রেড ঝুলিয়ে রেখে তার চেয়ে বেশি লস করে দেয়। আপনি যদি ঐ বেশিরভাগ ট্রেডারের ব্যতিক্রম হতে না পারেন তাহলে ফরেক্স ট্রেডে বেশিদিন টিকতে পারবেন না।

কোন প্রশ্ন থাকলে বা কোন সহযোগতার দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন বা আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করতে পারেন।

আমার এই লেখা যদি আপনার সামান্যও ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে পরবর্তী পোস্ট লিখতে উতসাহ যোগাবে।



কিভাবে নিউজ বুঝবেন?

ফরেক্স রোবট কি?

ফরেক্স রিবেট: আয় বৃদ্ধির এক অনন্য কৌশল



 

ডিপোজিট এবং উইথড্র

আমরা বাংলাদেশীরা একটা ব্যাপার নিয়ে অনেক ভুক্তভোগী। আমাদের দেশে পেপাল নেই। তাই আমরা দেশে অনলাইন থেকে সহজে টাকা আনতে পারি না। বাংলাদেশ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফার করে বাইরে টাকা পাঠানোর অনুমতি নেই। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী আপনি দেশ থেকে টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন না। কিভাবে ফরেক্সে ডিপোজিট করবেন? আপনি ecurrency এর মাধ্যমে ফরেক্সে ডিপোজিট করতে পারেন। পেপাল এর মত অনেক অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর রয়েছে। যেমনঃ Liberty Reserve (LR), AlertPay (AP), MoneyBookers (MB) ইত্যাদি। আপনি এসবের মাধ্যমে অনলাইনে ফরেক্সে ডিপোজিট করে ট্রেড করতে পারেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড/ভিসা কার্ড দিয়েও ডিপোজিট করতে পারবেন।

আপনি আপনার ফ্রি-ল্যান্সিং বা অনলাইন থেকে আয় করা ডলার ফরেক্সে ডিপোজিট/ইনভেস্ট করতে পারেন।

 

ডিপোজিট করার জন্য কোনটি ভাল?

InstaWallet:  এটা ইন্স্টা ফরেক্স এর নিজস্ব কারেন্সি সিস্টেম।   এটার মাধ্যমে তা্তক্ষনিক ডিপোজিট  বা উইথড্র করা যায়। কোন ভ্যাট কাটেনা। ইন্সটাওয়ালেট আপনি ইন্সটা ফরেক্সের কোন ট্রেডার বা বাংলাদেশে ইন্সটা ফরেক্সের যেসকল প্রতিনিধি আছে তাদের কাছ থেকে কিনতে বা বেচতে পারবেন। ইন্সটাওয়ালেট একাউন্ট টি মুল ট্রেডিং একাউন্ট থেকে আলাদা। আপনার যখন্ই কিছু প্রফিট হল তখনই সেটা উঠিয়ে রেখে দিতে পারবেন। মূল একাউন্টটি কোন কারনে জিরো হলেও ওয়ালেটটির কোন ক্ষতি হবেনা। ওয়ালেট থেকে আপনার উঠানো ডলার দিয়ে আপনি আবার নতুন করে ট্রেড শুরু করতে পারবেন।

Liberty Reserve: ফরেক্সে ডিপোজিট করার জন্য লিবার্টি রিসার্ভ সবচেয়ে ভাল। কারন প্রায় সব ব্রোকার লিবার্টি রিসার্ভ সাপোর্ট করে। আপনার পছন্দের অধিকাংশ ব্রোকারে আপনি লিবার্টি রিসার্ভ দিয়ে ডিপোজিট করতে পারবেন। লিবার্টি রিসার্ভ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উইথড্র করা যায় না। তাই আপনি যখন আপনার প্রফিট উইথড্র করতে চাবেন, অনলাইনে অনেক এক্সচেঞ্জার সাইট আছে যারা আপনাকে লিবার্টি রিসার্ভ এক্সচেঞ্জ করে আপনাকে ব্যাংক ট্রান্সফার করে দিবে।

MoneyBookers: ফরেক্সে ডিপোজিট করার জন্য মানিবুকারস ভাল একটি পেমেন্ট প্রসেসর। অনেক ব্রোকার মানিবুকারস সাপোর্ট করে। কিন্তু মানিবুকারসের আলাদা একটি সুবিধা রয়েছে। আপনি আপনার মানিবুকারস থেকে সরাসরি ব্যাংকে উইথড্র করতে পারবেন। আপনি আপনার ব্যাংকের Swift Code এবং অ্যাকাউন্ট নং দিয়ে উইথড্র চাইলে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তারা টাকা পাঠিয়ে দেবে। এমনকি আপনি আপনার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডেও মানিবুকারস থেকে উইথড্র করতে পারবেন।

Alertpay: অনেক ব্রোকার অ্যালার্ট-পে সাপোর্ট করে। তবে তা লিবার্টি রিসার্ভ এবং মানিবুকারসের মত এতো বেশী নয়। মানিবুকারসের মতোঅ্যালার্ট-পে থেকেও আপনি সরাসরি ব্যাংকে উইথড্র করতে পারবেন। এছাড়া অ্যালার্ট-পের আলাদা ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। আপনি ২০$ এর বিনিময়ে তা সংগ্রহ করে সেই মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে ATM Booth থেকেই টাকা উইথড্র করতে পারবেন।

Mastercard: অনেক ব্রোকার তাদের ট্রেডারদের মাস্টারকার্ড প্রদান করে থাকে। সেই মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে আপনি ATM Booth থেকেই টাকা উইথড্র করে নিতে পারবেন।

ফরেক্স ব্রোকারগুলোর নিয়ম হল আপনি যে পেমেন্ট প্রসেসর দিয়ে ডিপোজিট করবেন, আপনাকে সেই পেমেন্ট প্রসেসর এবং সেই অ্যাকাউন্টেই উইথড্র করতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকার যে মাধ্যম দিয়েই ডিপোজিট করা হোক না কেন, ব্যাংক বা তাদের মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে উইথড্র করতে দেয়। যেমন ইন্সটাফরেক্সে আপনি যে পেমেন্ট প্রসেসর দিয়েই ডিপোজিট করুন, তাদের মাস্টারকার্ড দিয়ে উইথড্র করতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন

প্রায় সব ফরেক্স ব্রোকারের সাথেই আইডেনটিটি ভেরিফাই করতে হয়। ভেরিফাই মানে আপনি যে তথ্য দিয়ে তাদের কোম্পানিতে জয়েন করেছেন এবং ট্রেড করছেন তা আসলেই সঠিক কিনা। অধিকাংশ ব্রোকারেই ভেরিফাই করতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারে ভেরিফাই না করেও ট্রেড করা যায়।

ভেরিফাই করতে কি কি ডকুমেন্টস দরকারঃ

  • আপনার পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপি
  • আপনার অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস

পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপিঃ

ভেরিফাই করার জন্য আপনার পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপি ফরেক্স ব্রোকার সাইটে আপলোড করতে হবে। আপনি পাসপোর্ট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্ক্যান করে তা ইমেজ ফরম্যাটে সেভ করে তা আপলোড করতে পারেন। আপনার যদি পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে, তবে আপনি ভেরিফাই করতে পারবেন না। ফরেক্স ব্রোকাররা স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করে না। কিন্তু কেউ কেউ বলেছে তারা নাকি ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করেছে। সবচেয়ে ভাল হয় পাসপোর্ট থাকলে। কারন পাসপোর্ট আপনার সবসময়ই কাজে লাগবে। তাছাড়া বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অনেক তথ্য বাংলায় থাকায় অল্প কিছু ব্রোকার তা গ্রহন করে না।

অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টসঃ

অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস ভেরিফাই করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করবেন যে আপনি ফরেক্স ব্রোকারে জয়েন করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন তা সঠিক। আপনি অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস হিসেবে যেকোনো ইউটিলিটি বিল যেমন – মোবাইল বিল, ইন্টারনেট বিল, কারেন্ট-গ্যাস বিল দিতে পারেন। অর্থাৎ, যে বিলে ইংলিশে আপনার নাম, ঠিকানা লেখা আছে এবং যা ৩-৬ মাস এর পুরনো নয় তা আপনি ভেরিফাই করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। বাংলালায়ন, কিউবি ইত্যাদির বিল দিয়েও ভেরিফাই করা যাবে।

ভেরিফাই করা কি জরুরী?

হ্যাঁ। কারন ভেরিফাই করা ছাড়া আপনি অনেক ভাল ব্রোকারে ট্রেড করতে পারবেন না। এবং আপনি অনলাইনে যেই পছন্দসই ব্রোকারে ট্রেড করতে চাননা কেন, তারা ভেরিফাই চাবে। তাই ভেরিফাই এর ডকুমেন্টস জোগাড় করে রাখাটাই ভাল।

আমার ভেরিফাই করার ডকুমেন্টস নেই। আমি কি করবো?

আপনার যদি ভেরিফাই করার মত ডকুমেন্টস না থাকে তবে আপনি ভাল হয় একটি পাসপোর্ট ইস্যু করে নিন। এটা আপনার পরবর্তী জীবনে সবসময়ই কাজে লাগবে। অ্যাড্রেস ভেরিফাই এর জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কাছে বিলের একটি প্রিন্টেড কপি দিতে বলুন।

ভেরিফাই ছাড়া ট্রেডিং?

হ্যাঁ। আপনি ভেরিফাই ছাড়াও ট্রেড করতে পারেন। ইন্সটাফরেক্সে ট্রেড করতে ভেরিফাই বাধ্যতামূলক নয়। আপনি কোন প্রকার ভেরিফাই ছাড়াই এই ব্রোকারে ট্রেড করতে পারেন। কিন্তু ইন্সটাফরেক্স কর্তৃপক্ষ যে কোনদিন আপনার কাছে ভেরিফাই এর ডকুমেন্টস চাওয়ার অধিকার রাখে। আরও অনেক ব্রোকারে ভেরিফাই বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ব্রোকারে আপনি ভেরিফাই না করেও ট্রেড করতে পারবেন, কিন্তু বড় পেমেন্ট নেয়ার আগে অবশ্যই ভেরিফাই করতে হবে। FBS, Fxoptimax সহ অনেক ব্রোকারে ভেরিফাই না করেই ট্রেড শুরু করা যায়। কিন্তু বড় পেমেন্ট পেতে হলে আপনাকে তখন ভেরিফাই করতে হবে।

রিয়েল/লাইভ একাউন্ট ওপেন করার নিয়ম

ফরেক্স আকাউন্ট ওপেনিং এর জন্য যা যা দরকারঃ

অধিকাংশ ফরেক্স ব্রোকার এর ক্ষেত্রে আকাউন্ট ওপেনিং এর সময় আপনাকে নিম্নোক্ত তথ্যাবলী প্রদান করতে হবেঃ

  • First Name (আপনার নামের প্রথম অংশ)
  • Last Name (আপনার নামের শেষাংশ)
  • Address (ঠিকানা)
  • Email Address (আপনার ইমেইল আইডি)

এগুলো বিভিন্ন সাইটে রেজিস্ট্রেশান করার সময় আপনি আগেও পূরণ করেছেন, সুতরাং আপনি এগুলোর সাথে পরিচিত। তবে নিম্নোক্ত বিষয়াবলীর সাথে আপনি পরিচিত নাও থাকতে পারেন যেগুলো অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর সময় আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।

  • Swap (সোয়াপ) হছে সুদ। আপনি সোয়াপ অপশন সিলেক্ট করলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার এর উপর ভিত্তি করে আপনি যে ট্রেড ওপেন করবেন, তার উপর সুদ অর্জন করবেন অথবা আপনাকে সুদ দিতে হবে। মুসলমানদের জন্য সুদ হারাম, আর তাই সোয়াপ না নেয়াই ভাল। আপনি সুদ না নিতে চাইলে Swap কে No সিলেক্ট করুন।
  • Leverage (লোন) বাংলাদেশে শেয়ার মার্কেট এ ব্যাংকগুলো যেখানে সরব্বচ্চ ১:২ অনুপাতে ব্যাংকগুলো লোণ দেয়, ফরেক্স এ সেখানে আপনি ফরেক্স ব্রোকারদের কাছ থেকে ১:৫০০ পর্যন্ত লোণ পেতে পারেন। কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকার এমনকি ১:১০০০ লোন ও দেয়, মানে ক্যাপিটাল এর উপর ১০০০ গুন পর্যন্ত লোন। লিভারেজ যত বেশি হবে, আপনি তত বড় ট্রেড ওপেন করতে পারবেন। আর তাই, ফরেক্স এ আপনি ১:১০০০ লিভারেজ ব্যাবহার করে ৫ মিনিতেই টাকা দ্বিগুণ করতে পারেন।তবে ভুলেও এই লোভটি করতে যাবেন না, সর্বদাই ট্রেড এ অল্প লিভারেজ ব্যাবহার করুন। মনে রাখবেন, যে পরিমান মার্কেট মুভমেন্ট আপনার অনুকুলে হলে আপনার ব্যালেন্স দিগুন হবে, ঠিক একই পরিমান মার্কেট মুভমেন্ট আপন হলে আপনার ব্যালেন্স শূন্য হবে। ১;৫০ লিভারেজ ফরেক্স ট্রেডিং এর জন্য যথেষ্ট।
  • Account Currency (অ্যাকাউন্ট কারেন্সি) – USD বা ডলার সিলেক্ট করাই শ্রেয় ।
  • Account Type আপনার ডিপোজিট এর উপর ভিত্তি করে ফরেক্স ব্রোকাররা বিভিন্ন রকম অ্যাকাউন্ট অফার করে। প্রতিটি ফরেক্স ব্রোকারের অফার স্বতন্ত্র। আপনার ডিপোজিট ১০০০ ডলার এর কম হলে Micro, ১০০০ – ১০,০০০ ডলার হলে Mini এবং ১০,০০০ ডলার বা তার উপরে হলে Standard সিলেক্ট করতে পারেন।

অনেক ফরেক্স ব্রোকার তাদের সাথে অ্যাকাউন্ট সত্যায়িত করা ছাড়া ডলার জমা/উত্তোলন (deposit/withdrawal)করতে দেয় না অথবা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আরোপ করে। এটা করতে তারা বাধ্য হয় তাদের রেগুলেটরদের মানি লন্ডারিং নীতিমালা মেনে চলার জন্য। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত দুই ধরনের ডকুমেন্টের স্ক্যান আপনাকে আপলোড করতে হবে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে –

 

  • আপনার পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / ন্যাশনাল আইডি কার্ডের স্ক্যান আপনার ছবি ভেরিফিকেশন এর জন্য।
  • বিদ্যুৎ / গ্যাস / পানির বিল অথবা ইন্টারনেট/মোবাইল বিল অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর স্ক্যান আপনার ঠিকানা ভেরিফিকেশন এর জন্য।

 

এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম। তবে বিভিন্ন দেশের রেগুলেশন আলাদা আলাদা। আর তাই কিছু ফরেক্স ব্রোকার ভেরিফিকেশন করতে বলে না।

যেসব ব্রোকার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন চায়, সেসব ফরেক্স ব্রোকার এর সাথে আগে অ্যাকাউন্ট ভেরিফ্যাই করে তারপর ডিপোজিট করা ভালো।

কিভাবে ট্রেড শুরু করবেন?

আমরা ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। ডেমো অ্যাকাউন্টও ওপেন করেছি। এখন আমরা ট্রেড শুরু করব। কিভাবে আমরা একটি ট্রেড ওপেন করে তা ক্লোজ করতে পারি তা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

মেটাট্রেডারে অ্যাকাউন্টে লগিন করার পর এই স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন।

EURUSD তে ট্রেড ওপেন করার জন্য “Market Watch” উইন্ডো থেকে EURUSD তে ডাবল ক্লিক করুন।

 

নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। EURUSD বাই করতে চাইলে “BUY” এ ক্লিক করুন।

 

নিচের মত একটি ট্রেড ওপেন হবে। স্প্রেডের কারনে ট্রেডটি কিছু লসে ওপেন হবে।

Stop loss বা Take profit সেট করতে চাইলে SL বা TP তে ডাবল ক্লিক করুন।

একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করতে পারবেন।

দেখুন স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট হয়ে গেছে। ঐ প্রাইসে গেলে ট্রেড একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে।

ট্রেডটি এখন $১ লাভে আছে। এখন আপনার ইকুইটি $৫০০১, কিন্তু ব্যালেন্স $৫০০০. ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলে আপনার ব্যালেন্স $৫০০১ হয়ে যাবে। SL/TP প্রাইসে গেলে ট্রেডটি একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এখনই ক্লোজ করে দিতে চান, তবে আপনি প্রফিটের ওপর ডাবল ক্লিক করুন।

দেখবেন ট্রেড ক্লোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে। হলুদ ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন।

ট্রেডটি $১ প্রফিটে ক্লোজ হয়ে গেছে।

এখন আপনার নতুন ব্যালেন্স $৫০০১.

 

ডেমো অ্যাকাউন্ট প্রস্তুত প্রনালী

ডেমো অ্যাকাউন্টঃ

আপনি যদি ফরেক্স ট্রেড করতে চান তাহলে আপনাকে আগে ডেমো প্র্যাকটিস করতে হবে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। এই ভার্চুয়াল মানি শুধু প্র্যাকটিস করার জন্য। ডেমো একাউন্টের প্রফিট আপনি উঠাতে পারবেন না। লস হলেও কোন সমস্যা নাই। এমনকি একাউন্ট জিরো হলেও কোন সমস্যা নেই। আরেকটা ডেমো একাউন্ট খুললেই আবার নতুন করে ডলার পাবেন।

ডেমো একাউন্ট শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।

কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?

 

যদি আপনি কোন অভিজ্ঞ ট্রেডারের কাছে হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিয়ে থাকেন তাহলে কমপক্ষে ২ মাস ডেমো করবেন। আর যদি ব্লগ পড়ে ট্রেড করেন তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছন ডেমো করা উচিত।

ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?

  • ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন
  • বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন
  • আপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন
  • নতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন

সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?

 

ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।

ডাউনলোড মেটাট্রেডার ৪

 

ডাউনলোড হয়ে গেলে ফাইলটাকে ইনস্টল করে নিন। ইনস্টলের শেষ দিকে এটা কিছু আপডেট ফাইল নামিয়ে নেবে। একটু অপেক্ষা করুন।

ইনস্টল করার পর এটি সরাসরি আপনাকে ডেমো একাউন্ট খোলার পেজে এ নিয়ে যাবে। যদি কোন কারনে পেজটি যদি একাই অপেন না হয় তাহলে আপনি ম্যানুয়ালী মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

 

প্রথমে File থেকে Open an account এ ক্লিক করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

নিচের এই উইন্ডোটি আসবে। এটি ফিল-আপ করুন। তারপর Next এ ক্লিক করুনঃ

demo 11

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

InstaForex-Demo.com সিলেক্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুনঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

ডেমো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন অ্যাকাউন্ট নং এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করে Finish এ ক্লিক করুন। আপনি ফিনিশ করলে এমনিতেই আপনার আইডি পাসওয়ার্ড সেভ হয়ে যাবে। এবং আপনি অটোমেটিক্যালি লগিন হয়ে যাবেন। আপনি এখন ট্রেড করার জন্য প্রস্তুত।

কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয় ?

ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।

একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।

মনে করুন আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে EUR/USD – তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি $১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।

এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১ ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।

কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়

প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

EUR/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ

 

স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কোট (quote) কারেন্সি।

এখানে EU Rহল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কোট (quote) কারেন্সি।

বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কোট কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ইউরো কেনার জন্য ১.২৪৬০ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।

সেল (sell) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কোট কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.২৪৬০ ইউ. এস. ডলার পাবেন।

বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কোট কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।

আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।

লং/সর্ট (long/short):

প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।

আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কোট কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।

আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কোট কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।

 

বিড/আস্ক (bid/ask):

 

 

সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।

বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।

আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।

বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।

EUR/USD -র উপরের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458.

অর্থাৎ, এখানে স্প্রেড 2 পিপস।

আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।

কারেন্সি পেয়ার কি?

ফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।

উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.

আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।

Tug of war

মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।

প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:

নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:

 

ইউ. এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে – EUR, GBP এবং JPY থেকে।

Euro Crosses

 

Yen Crosses

 

 

Pound Crosses

 

 

Other Crosses

 

 

Exotic Pairs

একটি প্রধান কারেন্সির সাথে আরেকটি কারেন্সি পরিপুরক হিসেবে যেই পেয়ারে যুক্ত হয়, তাকে Exotic পেয়ার বলে।

 

কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকারে এই কারেন্সি পেয়ারগুলো ট্রেড করা যায়। এগুলো প্রধান এবং ক্রস পেয়ার গুলোর মত অত্যাধিক ট্রেড করা হয়না।
Exotic পেয়ারগুলোর স্প্রেড EUR/USD অথবা USD/JPY এর তুলনায় দুই অথবা তিন গুন বেশি। তাই যদি আপনি এই Exotic পেয়ারসমূহ ট্রেড করতে চান, তবে তা ভেবে করবেন।

স্প্রেড কি?

আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।

আপনি ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।

 

বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত।

টাইমফ্রেম কি ?

টাইমফ্রেমের মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি। যদি আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবোঃ

• কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছে

• কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছে

• প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল

• প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিল

সাধারনত নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া আছে। কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরো কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন।

• M1

• M5

• M15

• M30

• H1

• H4

• D1

• W1

• MN

আপনি কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের কোন ১টি ক্যানডেল দেখলেই বুঝতে পারবেন ঐ সময়ে প্রাইসের মুভমেন্ট কেমন হয়েছিল।

 

 

 

লাল দাগ দিয়ে সিলেকটেড ক্যানডেলটি দেখুন। এটা দেখে ৪ ঘন্টায় প্রাইস অ্যাকশন বোঝা যাচ্ছে।

 

কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?

এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।

লট/ভলিউম কি?

লট/ভলিউমঃ

 

লট ব্যাপারটি অনেক সহজ। কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার কাছে জটিল মনে হবে। তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো। ইউনিটের ক্যালকুলেশন জানতে বেবীপিপসে দেখুন।

ফরেক্স মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে।

ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি।

 

• স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার

• মিনি লট ব্রোকার

• মাইক্রো লট ব্রোকার

 

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস।

তারমানে, আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০. অনুরুপ লস হলেও $১০০ হবে।

কিন্তু, আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০. অনুরুপ লস হলেও $১০ হবে।

আর, আপনি মাইক্রো লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১. অনুরুপ লস হলেও $১ হবে।

 

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারেঃ

• ১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস

• ০.১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস

• ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস

• ১০ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০০/পিপস

মিনি লট ব্রোকারেঃ

• ১ মিনি লট = $১/পিপস

• ০.১ মিনি লট = $০.১০/পিপস

• ০.০১ মিনি লট = $০.০১/পিপস

• ১০ মিনি লট = $১০/পিপস

মাইক্রো লট ব্রোকারেঃ

• ১ মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস

• ০.১ মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস

• ০.০১ মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস

• ১০ মাইক্রো লট = $১/পিপস

নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য। ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে।

অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১ সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১ সেন্ট। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন।

শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন।

কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?

ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স, লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।

 

কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?

ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স,লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট,তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে$১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।