পিপস্ এবং পিপেটস্ কি?

পিপস:

ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪র্থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।

 

পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।

 

উদহারন ১:

 

আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ ।

 

কয় পিপস পরিবর্তন হল?

 

বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ – ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫

 

আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ

 

৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫

 

অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।

 

তাহলে এবার বলুন,

 

উদহারন ২:

 

GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।

 

আরও কিছুঃ

 

মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ – ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ – ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ – ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ – ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ

 

ধাঁধা ২:

 

EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০।

 

মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

 

পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা –

 

ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।

 

Pipettes (পিপেটস):

কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেট। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটস পরিবর্তন হয়েছে।

ফরেক্স মার্কেট বেসিক

Currency Pair (কারেন্সি পেয়ার):

শেয়ার মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।

কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?

এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়।

যেমন ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। ওহ, বলতে ভুলে গেছি, USD = United States Dollar বা আমেরিকান ডলার। সহজ করে বললে, যেটাকে আমরা ডলার বলে চিনি।

চলুন দেখে নেই আরও কিছু কারেন্সি পেয়ারঃ

1 AUD/USD = 1.0543 , এর মানে হচ্ছে ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে আপনি ১.০৫৪৩ আমেরিকান ডলার পাবেন।

1 GBP/USD = 1.6422 , এর মানে হচ্ছে ১ পাউন্ড দিয়ে আপনি ১.৬৪২২ আমেরিকান ডলার পাবেন।

1 NZD/USD = 0.8177 , এর মানে হচ্ছে ১ নিউজিল্যান্ড ডলার দিয়ে আপনি ০.৮১৭৭ আমেরিকান ডলার পাবেনচা

1 USD/JPY = 80.29 , এর মানে হচ্ছে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০.২৯ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।

1 EUR/JPY = 115.91 , এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১১৫.৯১ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।

এখন বুঝলেন কারেন্সি পেয়ারের ব্যাপারটা?

ভাই, আমি যদি একটু ঘুরায় লিখি? মানে আপনি তো লিখলেন যে, 1 EUR/USD = 1.4434 আমি যদি এভাবে EUR/USD না লিখে USD/EUR লিখি, তাহলে কোনো সমস্যা আছে?

অবশ্যই নেই। তবে মনে রাখবেন, কারেন্সি পেয়ারের প্রথম কারেন্সি নির্দেশ করে তা দিয়ে আপনি কত পরের কারেন্সিটা পাবেন।

1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন।

তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন। উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928

একটা প্রশ্ন এখনও রয়েই গেল, আপনি প্রতিবার দশমিকের পরে এতগুলো সংখ্যা নিচ্ছেন কেন? যেমন, 1 EUR/USD = 1.4434 লিখেন কেন? 1.44 লিখলেই তো হয়শেয়ার মার্কেটে তো এই দশমিকের ভেজাল নাই, সব শেয়ারের মূল্য হয় ২০ টাকা, নয় ৬০ টাকা নতুবা হয়ত ১২০০ টাকাকোনদিন তো শেয়ারের দাম ২০.২৫৪৩ তা শুনি নাইএত ভেজাল কেন?

প্রথমত ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ার হচ্ছে দুইটা কারেন্সির অনুপাত। যেমন, EUR/USD এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে কত ডলার পাব। শেয়ার মার্কেটে তো আর আমরা ১ টা জনতা ব্যাঙ্কের শেয়ার দিয়ে মেঘনা সিমেন্টের কয়টা শেয়ার পাবো তা এর হিসাব করি না। আর তাই, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে অধিকাংশ শেয়ারের দাম পুরন সংখ্যায়, তবে কিছু শেয়ারের দাম দশমিকে।

এর ফরেক্স মার্কেটে দশমিকের পর ৪ তা ঘর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কারন ফরেক্স মার্কেটে সাধারনত মুভমেন্ট দশমিকের পরে ৩ আর ৪ নাম্বার ঘরেই বেশি হয়। তাই এটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছেঃ

চলুন দেখে নেই এক নজরে ৬ জুন থেকে ১০ জুন, ২০১১ , এই ৫ দিন এ EUR/USD এর মূল্য:

EUR/USD

তারিখদিনের সর্বোচ্চদিনের সর্বনিম্ন

৬ জুন, ২০১১ ১.৪৫৫৮ ১.৪৬৫৮

৭ জুন, ২০১১ ১.৪৫৬৪ ১.৪৬৯৬

৮ জুন, ২০১১ ১.৪৫৬৫ ১.৪৬৯৫

৯ জুন, ২০১১ ১.৪৪৭৮ ১.৪৬৫৩

১০জুন, ২০১১ ১.৪৩২৩ ১.৪৫৫১

দেখতেই পাচ্ছেন যে মার্কেট যা মুভ করছে তা মূলত দশমিকের পরে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ঘরে হ

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ক্যান্ডেলস্টিক কি?

ফরেক্স ট্রেডিং চার্টে আমরা ৩ প্রকোর চার্ট দেখতে পাই Bar Chart, Candlesticks এবং Line chart. এর মধ্যে Candlesticks হল সবচেয়ে জনপ্রিয়. এই Candlesticks  ফর্মুলা জাপানীদের তৈরি। সকল দেশের অভিজ্ঞ ট্রেডাররাই Candlesticks  Chart ব্যবহার করেন। কারন, এই Candlesticks  এর কিছুু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে  যার দ্বারা ট্রেডিং মার্কেটের ট্রন্ড,  অবস্থান, আচরন এবং ট্রেডিং দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়.

 ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস পরিবর্তনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে সংজ্ঞায়িত করে ট্রেডিং এর যে একটি পদ্ধতি তা-ই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস’.  যেখানে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক বিভিন্ন প্যাটার্ন দেখে পরবর্তী মার্কেট প্রাইস সিগনাল পেয়ে যাবেন।  যে বিশের অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন দিয়ে ট্রেড করে।

ক্যান্ডেলস্টিক শত শত প্যাটার্ন রয়েছে সব গুলো প্যাটার্ন আপনার পক্ষে মনে রেখে ট্রেড করা সম্ভব নয়। এবং সব গুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর কাজে আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবেন না। তাই মুলত যেসব ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন গুলোর ভালো ট্রেডিং সাকসেস রেইট রয়েছে আমি মুলত সেই প্যাটার্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পরিচিতিঃ

ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু’ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত(Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়।

bdforexpro_candlestick_intro.png

প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু(Open) করে উপর দিকে শেষ(Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু(Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ(Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত। ধরি আপনি ১৫ মিনিট টাইম ফ্রেমে আছেন তাহলে প্রতিটি ক্যান্ডেল তৈরি বা শেষ হবে ১৫ মিনিট পরপর। এই ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিতে ক্যান্ডেল শুরু এবং শেষ টা নিশ্চিত হতে পারেন।

লেভারেজ কি?

যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)
কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।

ব্রোকার কি? ব্রোকার কয় প্রকার ও কি কি?

যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়।

আগের দিনে শুধুমাত্র  বিশাল  ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের  পরিবর্তনের  সাথে সাথে  বিভিন্ন  ফরেক্স  ব্রোকারের  আবির্ভাব  হয়।  ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার  সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।
ফরেক্স মার্কেটে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমানঃ
  • ১। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (Market Maker Broker)
  • ২। নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (NDD Broker

download

ডিলিং ডেস্ক (Market Maker) ব্রোকারঃ

এই প্রকার ব্রোকার Route তথা একটি Way’র মাধ্যমে আপনার ট্রেডটি ওপেন করে, এবং তাদের স্প্রেড সিস্টেম সাধারণভাবে ফিক্সড করা থাকে। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার মূলত স্প্রেডের মাধ্যমে ইনকাম করে এবং ট্রেডারদের প্রত্যেকটি ট্রেড ওপেন এর বিপরীতে নিজেরা আরেকটি ট্রেড ওপেন করে থাকে। এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে কারন তারা ‘মার্কেট মেইক করে অর্থাৎ যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বা বায় অর্ডারটি করে। এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না। তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে। মূলত এরা হল রিটেইল ব্রোকার আর এই সকল ব্রোকার আমাদেরকে কম ইনভেস্টমেন্টে ট্রেড করার সুবিধা দিচ্ছে বলে ওরাও বিনিময়ে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তবে এইসব ব্রোকাররা সব সময় চেষ্টা করে ট্রেডারদের রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করে দিতে।  এই নিয়মে অর্থাৎ Hedge এর মাধ্যমে ট্রেডার এবং ব্রোকার উভয় সুবিধা লাভ করে থাকে।

নো-ডিলিং ডেস্ক (NDD) ব্রোকারঃ

এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে। তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না। আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না। তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না।
নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছেঃ
  • ১। Electronic Communications Network(ECN)
  • ২। Straight Through Processing (STP)
 ECN: নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের একটি টাইপ হল ECN ব্রোকার। আসলে ট্রেডিং মেকানিসম এর পার্থক্যর কারনে এইসব ব্রোকারের সৃষ্টি, এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ডিরেক্টলি ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট রিস্পন্স কনসেপ্টে।
STP: আর এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ইন্টারব্যাংক প্রাইস আক্সিস্টিং লেভেলের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট টু ব্যাংক তথা লিকুডিটি প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।

 

ফরেক্স ট্রেড কি খু্বই রিস্কি?

সেটা সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি চাইলে ১০ মিনিটেই  আপনার একাউন্ট  শূন্য হয়ে যেতে পারে আর আপনি না চাইলে আপনার একাউন্ট কোনদিনও শূন্য হবেনা। অর্থাত আপনার একাউন্ট শূন্য করার ক্ষমতা শুধু আপনার কাছে। সেখেত্রে অভিজ্ঞ কোন ট্রেডারের সহযোগিতা খুবই জরুরী। শুধু Google search  করে আর blog এর post পড়ে যারা trade করে তাদের ফলাফল ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রে গালি দিতে দিতে ফরেক্স থেকে বের হয়ে যায়।

ফরেক্স ট্রেড করতে কি কি দরকার?

.

ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প কিছু পুঁজি এমনকি আপনি ৫ ডলার দিয়েও শুরু করতে পারেন। ৫ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ৫ ডলার বিনিয়োগ করে ১,০০০  ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে।

ফরেক্স করার জন্য দ্বিতীয় যে জিনিসটা আপনার দরকার সেটা হলো ফরেক্স ট্রেডটা ভাল মতো শিখে নেয়া।

 

  1. লেভারেজ কি?

ইনভেস্ট ছাড়াই ফরেক্স করুন

Do forex without investইনস্টাফরেক্স এখন স্কাম হয়ে গেছে। তাই ইনস্টা ফরেক্স এর  কোন ফোরামে পোস্ট করে লাভ নেই। প্রথমত ডলার দিবেনা। দিলেও আপনি যদি প্রফিট করেন তো একাউন্ট ব্যান করে দিবে। প্রথম কিছুদিন উইথড্র করলে ডলার দিছে। এখন বাটপারীর চরম সীমায় উঠে গেছে। আপনারা Mayzuz এ পোস্ট করতে পারেন। ওরা এখন পেমেন্ট দিচ্ছে।

 

ইনস্টাফরেক্স রিলেটেড অনেকগুলো ফোরাম আছে যে ফোরাম গুলোতে উপযুক্ত মন্তব্য পেশ করলে তারা আমাদেরকে ২০ অথবা ৩০ সেন্ট করে প্রদান করে থাকে । তাদের ফোরামে বিভিন্ন টপিকস থাকবে সেই টপিকস এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে কমেন্ট করতে হবে । যেমন –

1. Demo Trading is important or not?

2. What do you like scalping or day trading?

3. Do you use indicator?

এই ৩ টা আলাদা আলাদা টপিক এবং টপিক গুলো এই টাইপের থাকবে এবং আপনাকে টপিকের উপর ভিত্তি করে কমেন্ট করতে হবে । প্রত্যেক কমেন্টের জন্য ২০ অথবা ৩০ সেন্ট করে পাবেন এটা একেক ফোরাম এ একেক রকম ।

ফোরাম গুলোর কিছু বিশেষ কিছু রুলস আছে যা আমাদের মেনে চলতে হবে একটু এদিক সেদিক হলেই ব্যান করে দিবে । সেই রুলস গুলো নিম্নরুপ:

১. একটা পিসি থেকে আপনি একটাই একাউন্ট করতে পারবেন ।

২. কোন ধরনের স্পামিং করলে সাথে সাথে ব্যান করবে নিরবে ।

৩. কোন মেম্বারের কমেন্ট কপি পেস্ট করলেই ব্যান খাবেন ।

৪. কোন মিথ্যা , অশ্লিল কিছু পোস্ট করা যাবে না ।

৫. প্রত্যেক কমেন্ট এর ফন্ট সাইজ ২ এবং কমেন্ট দের থেকে দুই লাইন হতে হবে টপিক বুঝে ।

আরো অনেক কিছু আছে যা আপ্নারা সাইট ভিসিট করলে জানতে পারবেন ।

এখন পেমেন্ট এর কথায় –

ধরুন আপনি প্রতিদিন ২০ টি করে সারা মাসে ৬০০ টি পোস্ট করেছেন যার ফলে আপনি ৬০০*৩০ সেন্ট = ১৮০ ডলার পাবেন ।

এই ডলার আপনি সরাসরি withdraw করতে পারবেন না। এটা দিয়ে ট্রেড করতে পারবেন। যদি প্রফিট করতে পারেন তাহলে শুধু প্রফিট টা withdraw করতে পারবেন।

আপনাকে প্রথমে Instaforex এ একটা Account খুলতে হবে . একাউন্ট খোলার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Open a Forum Posting Trading Account

এই Account টা ফোরাম এ লিঙ্ক করতে হবে এবং একটা ফোরাম এ একটাই লিঙ্ক করতে পারবেন এবং ২ মাসের মধ্যে তা চেঞ্জ করতে পারবেন না এবং তা করার পর প্রতি মাসের ১ থেকে ৮ তারিকের মধ্যে আপনার instaforex account এ ডলার জমা হয়ে যাবে যা দিয়ে আপনি দস্তুর মত ট্রেড করতে পারবেন কোন রিস্ক ছাড়া কিন্তু withdraw দিতে পারবেন না যতক্ষন না আপনি প্রফিট করতে পারবেন । আপনি প্রফিট করার সাথে সাথেই তা withdraw দিতে পারবেন । ধরুন আপনি বোনাস পেয়েছেন ৩০ ডলার এখন ৩০ এর উপরে যত ডলার আপনি করতে পারবেন সব আপনার । withdraw করার নিয়মটা এখানে ক্লিক করে জেনে নিন।

ফোরাম পোস্টিং ডলার উঠানোর নিয়ম

সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্চে আপনি প্রথম মাসে যদি ১৮০ ডলার করেন তাহলে ছোট ছোট ট্রেড করুন আর সাথে ফোরাম পোস্ট করুন তাহলে ২য় মাসে আরো বোনাস জমা হবে এতে করে আপনি আপনার ব্যালেন্স অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন

ইন্ডিয়ার ফোরামে ৩০ সেন্ট পাবেন প্রতি কমেন্টের জন্য ।

নাইজেরিয়া ফোরামে 20 সেন্ট করে পাবেন ।

ইনস্টাফরেক্সে একাউন্ট খোলা হলে এবার fourm এ চলে যান।

অনেকেই ইনডিয়ান ফোরামে ব্যান হচ্ছেন, কিন্তু এমটি ফাইভে হচ্ছেন না। তাই নতুনদের শুধু এমটি ফাইভেই একাউন্ট খোলা উচিত।

 

ForexPeoples Forum

ফোরামে একাউন্ট খুলুন। একাউন্ট খোলার পর My profile এ ক্লিক করুন, এর পর Bonus for post – এ ক্লিক করুন + এ ক্লিক করে আপনার ইন্সটাফরেস্কের একাউন্ট নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিন। এভাবে প্রতিটি ফোরামে আপনার ইন্সটাফরেস্কের একাউন্ট এড করুন।

আবার কাউকে রেফার করলে আপনিও পাবেন প্রতি পোস্টে ১০ সেন্ট করে। কাজেই অফুরন্ত সুজুগ রয়েছে,ডিপোজিট সংগ্রহ করার। আজই নেমে পরুন।

আমার মতে দিনে ৫ টির বেশী পোস্ট ঠিক না নতুন অবস্থায়। পরবর্তীতে কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট হলে ৫০ এর উপরে পোস্ট করা যাবে। আজে বাজে পোস্ট করলে বেন হয়ে যাবেন।সাবধান।

কোন সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে পারেন- Skype: ABASAYA

ফরেক্স কপি

ফরেক্স কপি একটি মজার সিসটেম। আপনি যদি ভাল ট্রেডার না হন। তাহলে আপনি অন্য কোন ভাল ট্রেডারকে ফলো করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেই ট্রেডার  যে ট্রেড করবে আপনার একাউন্টেও একই ট্রেড হবে সয়ংক্রিয়ভাবে। বসে বসে প্রফিট। কাউকে ফলো করার জন্য আপনার একাউন্টে কোন প্রকার বোনাস ছাড়া কমপক্ষে  ১০ রিয়াল ডলার থাকতে হবে ।

আপনার একাউনেট কম ডলার থাকলেও আপনি  বেশি ডলার একাউন্ট কে ফলো করতে পারবেন। ট্রেডারকে কপি করার সময় লট রেশিও টা কমিয়ে দিবেন। যেমন ট্রেডার যদি ১ লট্ ট্রেড ওপেন করে তাহলে আপনার ওপেন হবে ০.০১ । .  যাদের ডলার ট্রেডার এর চেয়ে বেশি তারা উল্টোটা করবেন। যেমন ট্রেডার যদি ১ লট  ওপেন করে তাহলে আপনার ওপেন হবে ২ লট।  আপনার ব্যালেন্স এবং ট্রেডারের ব্যালেন্স এর রেশিও মিলিয়ে যেটা নিরাপদ হয় তেমনটাই লট সেট করবেন। প্রয়োজনে ট্রেডারের সাথে আলোচনা করে নিবেন।

সতর্কতা: মনে রাখবেন ট্রেডার প্রফিটে ও থাকলে আপনিও প্রফিটে। ট্রেডার লসে থাকলে আপনিও লসে। আপনার ব্যালান্স শূন্য পযর্ন্ত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্রোকার বা ট্রেডার কেউ আপনাকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরন দেবেনা। এটা মাথায় রেখেই কপি প্রজেক্টে আপনার নামা উচিত।

 

 

 

 

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:  skype: BDForexSchool