অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন

প্রায় সব ফরেক্স ব্রোকারের সাথেই আইডেনটিটি ভেরিফাই করতে হয়। ভেরিফাই মানে আপনি যে তথ্য দিয়ে তাদের কোম্পানিতে জয়েন করেছেন এবং ট্রেড করছেন তা আসলেই সঠিক কিনা। অধিকাংশ ব্রোকারেই ভেরিফাই করতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারে ভেরিফাই না করেও ট্রেড করা যায়।

ভেরিফাই করতে কি কি ডকুমেন্টস দরকারঃ

  • আপনার পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপি
  • আপনার অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস

পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপিঃ

ভেরিফাই করার জন্য আপনার পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স – এর কম্পিউটার স্ক্যান কপি ফরেক্স ব্রোকার সাইটে আপলোড করতে হবে। আপনি পাসপোর্ট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্ক্যান করে তা ইমেজ ফরম্যাটে সেভ করে তা আপলোড করতে পারেন। আপনার যদি পাসপোর্ট/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে, তবে আপনি ভেরিফাই করতে পারবেন না। ফরেক্স ব্রোকাররা স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করে না। কিন্তু কেউ কেউ বলেছে তারা নাকি ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করেছে। সবচেয়ে ভাল হয় পাসপোর্ট থাকলে। কারন পাসপোর্ট আপনার সবসময়ই কাজে লাগবে। তাছাড়া বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অনেক তথ্য বাংলায় থাকায় অল্প কিছু ব্রোকার তা গ্রহন করে না।

অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টসঃ

অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস ভেরিফাই করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করবেন যে আপনি ফরেক্স ব্রোকারে জয়েন করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন তা সঠিক। আপনি অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস হিসেবে যেকোনো ইউটিলিটি বিল যেমন – মোবাইল বিল, ইন্টারনেট বিল, কারেন্ট-গ্যাস বিল দিতে পারেন। অর্থাৎ, যে বিলে ইংলিশে আপনার নাম, ঠিকানা লেখা আছে এবং যা ৩-৬ মাস এর পুরনো নয় তা আপনি ভেরিফাই করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। বাংলালায়ন, কিউবি ইত্যাদির বিল দিয়েও ভেরিফাই করা যাবে।

ভেরিফাই করা কি জরুরী?

হ্যাঁ। কারন ভেরিফাই করা ছাড়া আপনি অনেক ভাল ব্রোকারে ট্রেড করতে পারবেন না। এবং আপনি অনলাইনে যেই পছন্দসই ব্রোকারে ট্রেড করতে চাননা কেন, তারা ভেরিফাই চাবে। তাই ভেরিফাই এর ডকুমেন্টস জোগাড় করে রাখাটাই ভাল।

আমার ভেরিফাই করার ডকুমেন্টস নেই। আমি কি করবো?

আপনার যদি ভেরিফাই করার মত ডকুমেন্টস না থাকে তবে আপনি ভাল হয় একটি পাসপোর্ট ইস্যু করে নিন। এটা আপনার পরবর্তী জীবনে সবসময়ই কাজে লাগবে। অ্যাড্রেস ভেরিফাই এর জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কাছে বিলের একটি প্রিন্টেড কপি দিতে বলুন।

ভেরিফাই ছাড়া ট্রেডিং?

হ্যাঁ। আপনি ভেরিফাই ছাড়াও ট্রেড করতে পারেন। ইন্সটাফরেক্সে ট্রেড করতে ভেরিফাই বাধ্যতামূলক নয়। আপনি কোন প্রকার ভেরিফাই ছাড়াই এই ব্রোকারে ট্রেড করতে পারেন। কিন্তু ইন্সটাফরেক্স কর্তৃপক্ষ যে কোনদিন আপনার কাছে ভেরিফাই এর ডকুমেন্টস চাওয়ার অধিকার রাখে। আরও অনেক ব্রোকারে ভেরিফাই বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ব্রোকারে আপনি ভেরিফাই না করেও ট্রেড করতে পারবেন, কিন্তু বড় পেমেন্ট নেয়ার আগে অবশ্যই ভেরিফাই করতে হবে। FBS, Fxoptimax সহ অনেক ব্রোকারে ভেরিফাই না করেই ট্রেড শুরু করা যায়। কিন্তু বড় পেমেন্ট পেতে হলে আপনাকে তখন ভেরিফাই করতে হবে।

রিয়েল/লাইভ একাউন্ট ওপেন করার নিয়ম

ফরেক্স আকাউন্ট ওপেনিং এর জন্য যা যা দরকারঃ

অধিকাংশ ফরেক্স ব্রোকার এর ক্ষেত্রে আকাউন্ট ওপেনিং এর সময় আপনাকে নিম্নোক্ত তথ্যাবলী প্রদান করতে হবেঃ

  • First Name (আপনার নামের প্রথম অংশ)
  • Last Name (আপনার নামের শেষাংশ)
  • Address (ঠিকানা)
  • Email Address (আপনার ইমেইল আইডি)

এগুলো বিভিন্ন সাইটে রেজিস্ট্রেশান করার সময় আপনি আগেও পূরণ করেছেন, সুতরাং আপনি এগুলোর সাথে পরিচিত। তবে নিম্নোক্ত বিষয়াবলীর সাথে আপনি পরিচিত নাও থাকতে পারেন যেগুলো অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর সময় আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।

  • Swap (সোয়াপ) হছে সুদ। আপনি সোয়াপ অপশন সিলেক্ট করলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার এর উপর ভিত্তি করে আপনি যে ট্রেড ওপেন করবেন, তার উপর সুদ অর্জন করবেন অথবা আপনাকে সুদ দিতে হবে। মুসলমানদের জন্য সুদ হারাম, আর তাই সোয়াপ না নেয়াই ভাল। আপনি সুদ না নিতে চাইলে Swap কে No সিলেক্ট করুন।
  • Leverage (লোন) বাংলাদেশে শেয়ার মার্কেট এ ব্যাংকগুলো যেখানে সরব্বচ্চ ১:২ অনুপাতে ব্যাংকগুলো লোণ দেয়, ফরেক্স এ সেখানে আপনি ফরেক্স ব্রোকারদের কাছ থেকে ১:৫০০ পর্যন্ত লোণ পেতে পারেন। কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকার এমনকি ১:১০০০ লোন ও দেয়, মানে ক্যাপিটাল এর উপর ১০০০ গুন পর্যন্ত লোন। লিভারেজ যত বেশি হবে, আপনি তত বড় ট্রেড ওপেন করতে পারবেন। আর তাই, ফরেক্স এ আপনি ১:১০০০ লিভারেজ ব্যাবহার করে ৫ মিনিতেই টাকা দ্বিগুণ করতে পারেন।তবে ভুলেও এই লোভটি করতে যাবেন না, সর্বদাই ট্রেড এ অল্প লিভারেজ ব্যাবহার করুন। মনে রাখবেন, যে পরিমান মার্কেট মুভমেন্ট আপনার অনুকুলে হলে আপনার ব্যালেন্স দিগুন হবে, ঠিক একই পরিমান মার্কেট মুভমেন্ট আপন হলে আপনার ব্যালেন্স শূন্য হবে। ১;৫০ লিভারেজ ফরেক্স ট্রেডিং এর জন্য যথেষ্ট।
  • Account Currency (অ্যাকাউন্ট কারেন্সি) – USD বা ডলার সিলেক্ট করাই শ্রেয় ।
  • Account Type আপনার ডিপোজিট এর উপর ভিত্তি করে ফরেক্স ব্রোকাররা বিভিন্ন রকম অ্যাকাউন্ট অফার করে। প্রতিটি ফরেক্স ব্রোকারের অফার স্বতন্ত্র। আপনার ডিপোজিট ১০০০ ডলার এর কম হলে Micro, ১০০০ – ১০,০০০ ডলার হলে Mini এবং ১০,০০০ ডলার বা তার উপরে হলে Standard সিলেক্ট করতে পারেন।

অনেক ফরেক্স ব্রোকার তাদের সাথে অ্যাকাউন্ট সত্যায়িত করা ছাড়া ডলার জমা/উত্তোলন (deposit/withdrawal)করতে দেয় না অথবা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আরোপ করে। এটা করতে তারা বাধ্য হয় তাদের রেগুলেটরদের মানি লন্ডারিং নীতিমালা মেনে চলার জন্য। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত দুই ধরনের ডকুমেন্টের স্ক্যান আপনাকে আপলোড করতে হবে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে –

 

  • আপনার পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / ন্যাশনাল আইডি কার্ডের স্ক্যান আপনার ছবি ভেরিফিকেশন এর জন্য।
  • বিদ্যুৎ / গ্যাস / পানির বিল অথবা ইন্টারনেট/মোবাইল বিল অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর স্ক্যান আপনার ঠিকানা ভেরিফিকেশন এর জন্য।

 

এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম। তবে বিভিন্ন দেশের রেগুলেশন আলাদা আলাদা। আর তাই কিছু ফরেক্স ব্রোকার ভেরিফিকেশন করতে বলে না।

যেসব ব্রোকার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন চায়, সেসব ফরেক্স ব্রোকার এর সাথে আগে অ্যাকাউন্ট ভেরিফ্যাই করে তারপর ডিপোজিট করা ভালো।

কিভাবে ট্রেড শুরু করবেন?

আমরা ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। ডেমো অ্যাকাউন্টও ওপেন করেছি। এখন আমরা ট্রেড শুরু করব। কিভাবে আমরা একটি ট্রেড ওপেন করে তা ক্লোজ করতে পারি তা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

মেটাট্রেডারে অ্যাকাউন্টে লগিন করার পর এই স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন।

EURUSD তে ট্রেড ওপেন করার জন্য “Market Watch” উইন্ডো থেকে EURUSD তে ডাবল ক্লিক করুন।

 

নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। EURUSD বাই করতে চাইলে “BUY” এ ক্লিক করুন।

 

নিচের মত একটি ট্রেড ওপেন হবে। স্প্রেডের কারনে ট্রেডটি কিছু লসে ওপেন হবে।

Stop loss বা Take profit সেট করতে চাইলে SL বা TP তে ডাবল ক্লিক করুন।

একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করতে পারবেন।

দেখুন স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট হয়ে গেছে। ঐ প্রাইসে গেলে ট্রেড একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে।

ট্রেডটি এখন $১ লাভে আছে। এখন আপনার ইকুইটি $৫০০১, কিন্তু ব্যালেন্স $৫০০০. ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলে আপনার ব্যালেন্স $৫০০১ হয়ে যাবে। SL/TP প্রাইসে গেলে ট্রেডটি একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এখনই ক্লোজ করে দিতে চান, তবে আপনি প্রফিটের ওপর ডাবল ক্লিক করুন।

দেখবেন ট্রেড ক্লোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে। হলুদ ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন।

ট্রেডটি $১ প্রফিটে ক্লোজ হয়ে গেছে।

এখন আপনার নতুন ব্যালেন্স $৫০০১.

 

ডেমো অ্যাকাউন্ট প্রস্তুত প্রনালী

ডেমো অ্যাকাউন্টঃ

আপনি যদি ফরেক্স ট্রেড করতে চান তাহলে আপনাকে আগে ডেমো প্র্যাকটিস করতে হবে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। এই ভার্চুয়াল মানি শুধু প্র্যাকটিস করার জন্য। ডেমো একাউন্টের প্রফিট আপনি উঠাতে পারবেন না। লস হলেও কোন সমস্যা নাই। এমনকি একাউন্ট জিরো হলেও কোন সমস্যা নেই। আরেকটা ডেমো একাউন্ট খুললেই আবার নতুন করে ডলার পাবেন।

ডেমো একাউন্ট শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।

কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?

 

যদি আপনি কোন অভিজ্ঞ ট্রেডারের কাছে হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিয়ে থাকেন তাহলে কমপক্ষে ২ মাস ডেমো করবেন। আর যদি ব্লগ পড়ে ট্রেড করেন তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছন ডেমো করা উচিত।

ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?

  • ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন
  • বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন
  • আপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন
  • নতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন

সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?

 

ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।

ডাউনলোড মেটাট্রেডার ৪

 

ডাউনলোড হয়ে গেলে ফাইলটাকে ইনস্টল করে নিন। ইনস্টলের শেষ দিকে এটা কিছু আপডেট ফাইল নামিয়ে নেবে। একটু অপেক্ষা করুন।

ইনস্টল করার পর এটি সরাসরি আপনাকে ডেমো একাউন্ট খোলার পেজে এ নিয়ে যাবে। যদি কোন কারনে পেজটি যদি একাই অপেন না হয় তাহলে আপনি ম্যানুয়ালী মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

 

প্রথমে File থেকে Open an account এ ক্লিক করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

নিচের এই উইন্ডোটি আসবে। এটি ফিল-আপ করুন। তারপর Next এ ক্লিক করুনঃ

demo 11

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

InstaForex-Demo.com সিলেক্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুনঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

ডেমো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন অ্যাকাউন্ট নং এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করে Finish এ ক্লিক করুন। আপনি ফিনিশ করলে এমনিতেই আপনার আইডি পাসওয়ার্ড সেভ হয়ে যাবে। এবং আপনি অটোমেটিক্যালি লগিন হয়ে যাবেন। আপনি এখন ট্রেড করার জন্য প্রস্তুত।

কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয় ?

ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।

একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।

মনে করুন আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে EUR/USD – তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি $১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।

এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১ ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।

কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়

প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

EUR/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ

 

স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কোট (quote) কারেন্সি।

এখানে EU Rহল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কোট (quote) কারেন্সি।

বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কোট কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ইউরো কেনার জন্য ১.২৪৬০ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।

সেল (sell) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কোট কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.২৪৬০ ইউ. এস. ডলার পাবেন।

বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কোট কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।

আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কোট কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।

লং/সর্ট (long/short):

প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।

আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কোট কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।

আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কোট কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।

 

বিড/আস্ক (bid/ask):

 

 

সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।

বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।

আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কোট কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।

বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।

EUR/USD -র উপরের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458.

অর্থাৎ, এখানে স্প্রেড 2 পিপস।

আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।

কারেন্সি পেয়ার কি?

ফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।

উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.

আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।

Tug of war

মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।

প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:

নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:

 

ইউ. এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে – EUR, GBP এবং JPY থেকে।

Euro Crosses

 

Yen Crosses

 

 

Pound Crosses

 

 

Other Crosses

 

 

Exotic Pairs

একটি প্রধান কারেন্সির সাথে আরেকটি কারেন্সি পরিপুরক হিসেবে যেই পেয়ারে যুক্ত হয়, তাকে Exotic পেয়ার বলে।

 

কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকারে এই কারেন্সি পেয়ারগুলো ট্রেড করা যায়। এগুলো প্রধান এবং ক্রস পেয়ার গুলোর মত অত্যাধিক ট্রেড করা হয়না।
Exotic পেয়ারগুলোর স্প্রেড EUR/USD অথবা USD/JPY এর তুলনায় দুই অথবা তিন গুন বেশি। তাই যদি আপনি এই Exotic পেয়ারসমূহ ট্রেড করতে চান, তবে তা ভেবে করবেন।

স্প্রেড কি?

আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।

আপনি ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।

 

বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত।

টাইমফ্রেম কি ?

টাইমফ্রেমের মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি। যদি আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবোঃ

• কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছে

• কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছে

• প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল

• প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিল

সাধারনত নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া আছে। কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরো কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন।

• M1

• M5

• M15

• M30

• H1

• H4

• D1

• W1

• MN

আপনি কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের কোন ১টি ক্যানডেল দেখলেই বুঝতে পারবেন ঐ সময়ে প্রাইসের মুভমেন্ট কেমন হয়েছিল।

 

 

 

লাল দাগ দিয়ে সিলেকটেড ক্যানডেলটি দেখুন। এটা দেখে ৪ ঘন্টায় প্রাইস অ্যাকশন বোঝা যাচ্ছে।

 

কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?

এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।

লট/ভলিউম কি?

লট/ভলিউমঃ

 

লট ব্যাপারটি অনেক সহজ। কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার কাছে জটিল মনে হবে। তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো। ইউনিটের ক্যালকুলেশন জানতে বেবীপিপসে দেখুন।

ফরেক্স মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে।

ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি।

 

• স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার

• মিনি লট ব্রোকার

• মাইক্রো লট ব্রোকার

 

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস।

তারমানে, আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০. অনুরুপ লস হলেও $১০০ হবে।

কিন্তু, আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০. অনুরুপ লস হলেও $১০ হবে।

আর, আপনি মাইক্রো লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১. অনুরুপ লস হলেও $১ হবে।

 

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারেঃ

• ১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস

• ০.১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস

• ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস

• ১০ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০০/পিপস

মিনি লট ব্রোকারেঃ

• ১ মিনি লট = $১/পিপস

• ০.১ মিনি লট = $০.১০/পিপস

• ০.০১ মিনি লট = $০.০১/পিপস

• ১০ মিনি লট = $১০/পিপস

মাইক্রো লট ব্রোকারেঃ

• ১ মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস

• ০.১ মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস

• ০.০১ মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস

• ১০ মাইক্রো লট = $১/পিপস

নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য। ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে।

অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১ সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১ সেন্ট। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন।

শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন।

কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?

ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স, লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।

 

কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?

ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স,লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট,তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে$১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।

পিপস্ এবং পিপেটস্ কি?

পিপস:

ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪র্থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।

 

পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।

 

উদহারন ১:

 

আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ ।

 

কয় পিপস পরিবর্তন হল?

 

বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ – ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫

 

আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ

 

৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫

 

অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।

 

তাহলে এবার বলুন,

 

উদহারন ২:

 

GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।

 

আরও কিছুঃ

 

মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ – ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ – ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ – ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ – ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

 

 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ

 

ধাঁধা ২:

 

EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০।

 

মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

 

যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

 

পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা –

 

ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।

 

Pipettes (পিপেটস):

কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেট। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটস পরিবর্তন হয়েছে।

ফরেক্স মার্কেট বেসিক

Currency Pair (কারেন্সি পেয়ার):

শেয়ার মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।

কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?

এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়।

যেমন ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। ওহ, বলতে ভুলে গেছি, USD = United States Dollar বা আমেরিকান ডলার। সহজ করে বললে, যেটাকে আমরা ডলার বলে চিনি।

চলুন দেখে নেই আরও কিছু কারেন্সি পেয়ারঃ

1 AUD/USD = 1.0543 , এর মানে হচ্ছে ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে আপনি ১.০৫৪৩ আমেরিকান ডলার পাবেন।

1 GBP/USD = 1.6422 , এর মানে হচ্ছে ১ পাউন্ড দিয়ে আপনি ১.৬৪২২ আমেরিকান ডলার পাবেন।

1 NZD/USD = 0.8177 , এর মানে হচ্ছে ১ নিউজিল্যান্ড ডলার দিয়ে আপনি ০.৮১৭৭ আমেরিকান ডলার পাবেনচা

1 USD/JPY = 80.29 , এর মানে হচ্ছে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০.২৯ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।

1 EUR/JPY = 115.91 , এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১১৫.৯১ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।

এখন বুঝলেন কারেন্সি পেয়ারের ব্যাপারটা?

ভাই, আমি যদি একটু ঘুরায় লিখি? মানে আপনি তো লিখলেন যে, 1 EUR/USD = 1.4434 আমি যদি এভাবে EUR/USD না লিখে USD/EUR লিখি, তাহলে কোনো সমস্যা আছে?

অবশ্যই নেই। তবে মনে রাখবেন, কারেন্সি পেয়ারের প্রথম কারেন্সি নির্দেশ করে তা দিয়ে আপনি কত পরের কারেন্সিটা পাবেন।

1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন।

তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন। উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928

একটা প্রশ্ন এখনও রয়েই গেল, আপনি প্রতিবার দশমিকের পরে এতগুলো সংখ্যা নিচ্ছেন কেন? যেমন, 1 EUR/USD = 1.4434 লিখেন কেন? 1.44 লিখলেই তো হয়শেয়ার মার্কেটে তো এই দশমিকের ভেজাল নাই, সব শেয়ারের মূল্য হয় ২০ টাকা, নয় ৬০ টাকা নতুবা হয়ত ১২০০ টাকাকোনদিন তো শেয়ারের দাম ২০.২৫৪৩ তা শুনি নাইএত ভেজাল কেন?

প্রথমত ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ার হচ্ছে দুইটা কারেন্সির অনুপাত। যেমন, EUR/USD এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে কত ডলার পাব। শেয়ার মার্কেটে তো আর আমরা ১ টা জনতা ব্যাঙ্কের শেয়ার দিয়ে মেঘনা সিমেন্টের কয়টা শেয়ার পাবো তা এর হিসাব করি না। আর তাই, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে অধিকাংশ শেয়ারের দাম পুরন সংখ্যায়, তবে কিছু শেয়ারের দাম দশমিকে।

এর ফরেক্স মার্কেটে দশমিকের পর ৪ তা ঘর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কারন ফরেক্স মার্কেটে সাধারনত মুভমেন্ট দশমিকের পরে ৩ আর ৪ নাম্বার ঘরেই বেশি হয়। তাই এটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছেঃ

চলুন দেখে নেই এক নজরে ৬ জুন থেকে ১০ জুন, ২০১১ , এই ৫ দিন এ EUR/USD এর মূল্য:

EUR/USD

তারিখদিনের সর্বোচ্চদিনের সর্বনিম্ন

৬ জুন, ২০১১ ১.৪৫৫৮ ১.৪৬৫৮

৭ জুন, ২০১১ ১.৪৫৬৪ ১.৪৬৯৬

৮ জুন, ২০১১ ১.৪৫৬৫ ১.৪৬৯৫

৯ জুন, ২০১১ ১.৪৪৭৮ ১.৪৬৫৩

১০জুন, ২০১১ ১.৪৩২৩ ১.৪৫৫১

দেখতেই পাচ্ছেন যে মার্কেট যা মুভ করছে তা মূলত দশমিকের পরে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ঘরে হ

লেভারেজ কি?

যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)
কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।

ব্রোকার কি? ব্রোকার কয় প্রকার ও কি কি?

যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়।

আগের দিনে শুধুমাত্র  বিশাল  ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের  পরিবর্তনের  সাথে সাথে  বিভিন্ন  ফরেক্স  ব্রোকারের  আবির্ভাব  হয়।  ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার  সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।
ফরেক্স মার্কেটে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমানঃ
  • ১। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (Market Maker Broker)
  • ২। নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (NDD Broker

download

ডিলিং ডেস্ক (Market Maker) ব্রোকারঃ

এই প্রকার ব্রোকার Route তথা একটি Way’র মাধ্যমে আপনার ট্রেডটি ওপেন করে, এবং তাদের স্প্রেড সিস্টেম সাধারণভাবে ফিক্সড করা থাকে। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার মূলত স্প্রেডের মাধ্যমে ইনকাম করে এবং ট্রেডারদের প্রত্যেকটি ট্রেড ওপেন এর বিপরীতে নিজেরা আরেকটি ট্রেড ওপেন করে থাকে। এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে কারন তারা ‘মার্কেট মেইক করে অর্থাৎ যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বা বায় অর্ডারটি করে। এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না। তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে। মূলত এরা হল রিটেইল ব্রোকার আর এই সকল ব্রোকার আমাদেরকে কম ইনভেস্টমেন্টে ট্রেড করার সুবিধা দিচ্ছে বলে ওরাও বিনিময়ে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তবে এইসব ব্রোকাররা সব সময় চেষ্টা করে ট্রেডারদের রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করে দিতে।  এই নিয়মে অর্থাৎ Hedge এর মাধ্যমে ট্রেডার এবং ব্রোকার উভয় সুবিধা লাভ করে থাকে।

নো-ডিলিং ডেস্ক (NDD) ব্রোকারঃ

এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে। তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না। আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না। তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না।
নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছেঃ
  • ১। Electronic Communications Network(ECN)
  • ২। Straight Through Processing (STP)
 ECN: নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের একটি টাইপ হল ECN ব্রোকার। আসলে ট্রেডিং মেকানিসম এর পার্থক্যর কারনে এইসব ব্রোকারের সৃষ্টি, এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ডিরেক্টলি ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট রিস্পন্স কনসেপ্টে।
STP: আর এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ইন্টারব্যাংক প্রাইস আক্সিস্টিং লেভেলের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট টু ব্যাংক তথা লিকুডিটি প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।

 

ফরেক্স ট্রেড কি খু্বই রিস্কি?

সেটা সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি চাইলে ১০ মিনিটেই  আপনার একাউন্ট  শূন্য হয়ে যেতে পারে আর আপনি না চাইলে আপনার একাউন্ট কোনদিনও শূন্য হবেনা। অর্থাত আপনার একাউন্ট শূন্য করার ক্ষমতা শুধু আপনার কাছে। সেখেত্রে অভিজ্ঞ কোন ট্রেডারের সহযোগিতা খুবই জরুরী। শুধু Google search  করে আর blog এর post পড়ে যারা trade করে তাদের ফলাফল ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রে গালি দিতে দিতে ফরেক্স থেকে বের হয়ে যায়।

ফরেক্স ট্রেড করতে কি কি দরকার?

.

ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প কিছু পুঁজি এমনকি আপনি ৫ ডলার দিয়েও শুরু করতে পারেন। ৫ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ৫ ডলার বিনিয়োগ করে ১,০০০  ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে।

ফরেক্স করার জন্য দ্বিতীয় যে জিনিসটা আপনার দরকার সেটা হলো ফরেক্স ট্রেডটা ভাল মতো শিখে নেয়া।

 

  1. লেভারেজ কি?